প্রতিনিধি কুষ্টিয়া
![]() |
কুষ্টিয়ায় বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও দখলবাজির অভিযোগ জমা পড়েছে অভিযোগবক্সে। বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
দলীয় নেতাদের চাঁদাবাজি, দখলবাজিসহ যেকোনো অপকর্মের বিষয়ে জানতে ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কুষ্টিয়ায় বিএনপির স্থাপতি অভিযোগ বাক্সে দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ট্রাকস্ট্যান্ড থেকে চাঁদাবাজি ও ক্লাব দখলের অভিযোগ জমা পড়েছে। বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবে গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে বাক্সটি খুলে অভিযোগ পড়ে শোনান কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জাকির হোসেন সরকার।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক আবু মনি জুবায়েদ, সিনিয়র সহসভাপতি লুৎফর রহমান কুমার, কোষাধ্যক্ষ এম লিটন-উজ-জামান, দপ্তর সম্পাদক মোকাদ্দাস হোসেন প্রমুখ।
এর আগে ২১ জুলাই কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের নিচে ফটকের পাশে দলীয় নেতা-কর্মীদের চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিষয়ে জানতে ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অভিযোগ বাক্স স্থাপন করেছিল জেলা বিএনপি।
অভিযোগ বাক্স স্থাপনের দিন জাকির হোসেন বলেছিলেন, এই বাক্সে যেকোনো ব্যক্তি নির্ভয়ে নিজেদের অভিযোগ লিখিতভাবে জানাতে পারবেন। এর মাধ্যমে যেকোনো উপজেলার নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ জানানো যাবে। বিশেষ করে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, সন্ত্রাসী, মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত এবং রাজনীতিকে ব্যবহার করে এলাকায় প্রভাব বা আধিপত্য দেখায়, এমন বিষয়ে অভিযোগ নেওয়া হবে।
আজ বেলা দুইটার দিকে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জাকির হোসেন সরকার প্রেসক্লাবের নেতাদের সামনে বাক্স খোলেন। প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু মণি জুবায়েদ রিপন বলেন, আট দিন পর বিএনপি নেতা জাকির হোসেন সরকার নিজে এসে চাবি দিয়ে বাক্স খোলেন। এ সময় চারটি লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে। সেগুলো নিয়ে জাকির হোসেন প্রেসক্লাবের ওপরে উঠে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে খোলেন এবং পড়ে শোনান।
অভিযোগগুলোর মধ্যে দুটি অভিযোগপত্রে সরাসরি বিএনপির নেতা-কর্মীদের নাম উল্লেখ করে লেখা রয়েছে। বাকি দুটোর মধ্যে একটি লালন একাডেমির অনিয়ম দুর্নীতি ও আরেকটি একটি হত্যা মামলার স্বাক্ষীদের প্রশাসন পরিচয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে জমা পড়া একটি অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, কুষ্টিয়া শহরের বড়বাজার এলাকায় ট্রাকস্ট্যান্ডে ছয়–সাতজন বিএনপির নেতা ট্রাক থেকে প্রতিদিন চাঁদা আদায় করেন। কারা কত টাকা আদায় করেন, তা উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া গত বছরের ৫ আগস্টের পর একটি ক্লাব দখল করা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাদের পরিচয়ে। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দারা কোনো কার্যক্রম চালাতে পারেন না।
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জাকির হোসেন সরকার বলেন, ‘জমা পড়া অভিযোগগুলোর মধ্যে দুটি অভিযোগ রাজনৈতিক দল–সম্পর্কিত। বিএনপির কর্মীকে ঘিরে যে অভিযোগ করা হয়েছে, সেই বিষয়ে আমরা দুই দিনের মধ্যে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব, ইনশা আল্লাহ। মানুষ অভিযোগ জানাতে শুরু করেছে। প্রাপ্ত অভিযোগের বিষয়ে আমরা কী ব্যবস্থা নিচ্ছি, সেটি গণমাধ্যমকর্মীদের অবহিত করা হবে।’