সংবাদদাতা নওগাঁ

শিয়ালের দল ফাইল ছবি

নওগাঁর ধামইরহাটে শিয়ালের কামড়ে নারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তিন দিনের ব্যবধানে একাধিক গ্রামে এ ধরনের ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁদের জয়পুরহাট ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতদের মধ্যে সাতজনের নাম পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন- রবিউল আলম সুইট, আবদুল লতিফ, রেজিনা আক্তার, মেসবাউল, মাইমুনা বেগম, আনোয়ার হোসেন চৌধুরী ও আবদুস সালাম।

বিষয়টি বুধবার দুপুরে নিশ্চিত করেন আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফিরোজ কবির।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একদল শিয়াল হঠাৎ একটি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে। এর মধ্যে একটি শিয়াল মানুষ দেখে জঙ্গলে ফিরে গেলেও আরেকটি শিয়াল সামনে থাকা লোকজনকে এলোপাতাড়ি কামড়ে দেয়। পরে স্থানীয়রা শিয়ালটিকে ধাওয়া দিলে সেটি পালিয়ে গিয়ে জঙ্গলে লুকিয়ে পড়ে। তবে এর মধ্যেই অন্তত ১০ জন মানুষ শিয়ালের কামড়ে রক্তাক্ত হন। পরে আহতদের ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলেও সেখানে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা না থাকায় তাঁদের জয়পুরহাট হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আহত আনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, ‘মঙ্গলবার ভোরে বাড়ির পাশে শিয়ালের কামড়ে হাত থেকে রক্ত পড়তে থাকে। ধামইরহাট হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক আমাকে জয়পুরহাট পাঠান। এখন কিছুটা সুস্থ আছি।’

এ বিষয়ে ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি বরাদ্দে জলাতঙ্কের টিকা খুবই সীমিত আসে। সমাজসেবা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন উৎস থেকে যতটুকু সংগ্রহ করা হয়, তা চাহিদা পূরণে যথেষ্ট নয়। কুকুর ও শিয়ালের কামড়ের সংখ্যা বেড়েছে, ফলে আরও টিকার প্রয়োজন হলেও তা আমরা দিতে পারছি না।’