প্রতিনিধি মুন্সিগঞ্জ
মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়ায় পদ্মা সেতুর টোলপ্লাজার সামনে আজ শুক্রবার সকাল ১০টার চিত্র | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশদ্বার পদ্মা সেতু এলাকায় ঈদে ঘরমুখী মানুষ ও যানবাহনের চাপ গতকাল বৃহস্পতিবারের তুলনায় কমেছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটার পর থেকে এক্সপ্রেসওয়ে ও সেতু এলাকায় দক্ষিণের জেলামুখী যানবাহনের সংখ্যা বেশি থাকলেও কোনো রকম ভোগান্তি ছাড়াই গন্তব্যে যেতে পারছেন যাত্রী ও চালকেরা।
চালক ও যাত্রীরা বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগে ঈদে বাড়ি ফেরার জন্য শিমুলিয়া ফেরিঘাটে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো। কখনো রোদে পুড়তে হতো, কখনো বৃষ্টিতে ভিজতে হতো। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে সে ভোগান্তি কমেছে। তবে সেতু চালু হওয়ার পর বিগত কয়েকটি ঈদে সেতুর টোল প্লাজা এলাকায় জটলা বাধার কারণে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হয়েছিল। এবার ঈদের ছুটিতে বৃহস্পতিবার সকালে কিছুটা ভোগান্তি হলেও দুপুরের এর পর থেকে আজ পর্যন্ত স্বস্তির সঙ্গে গন্তব্যে যাওয়া যাচ্ছে।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) জিয়াউল হায়দার সকাল ১০টার দিকে বলেন, গতকাল এক্সপ্রেসওয়ে ও পদ্মা সেতু এলাকায় যানবাহনের অত্যধিক চাপ ছিল। দুপুরের পর সে চাপ কমে যায়। এরপর আর সড়ক ও সেতু এলাকার কোথাও গাড়ির কোনো জটলা বাধেনি। আজ সকাল সাড়ে আটটার পর সড়কে যানবাহন বেড়েছে। পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় টোল আদায় করার সময় ৫০ থেকে ৬০টি গাড়ি জড়ো হয়েছে। তবে গাড়িগুলো কোনো রকম ভোগান্তির ছাড়াই কয়েক মিনিটের মধ্যে সেতুর টোল পরিশোধ করে গন্তব্যের দিকে ছুটে যাচ্ছে।
আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অধিক নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যে যাত্রীরা বাড়ি ফিরছেন মন্তব্য করে পদ্মা সেতুর সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ বলেন, সেতু এলাকায় গাড়ির চাপ আছে। তবে সামান্য ভোগান্তিও নেই। যাত্রীদের নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্নে সেতু দিয়ে পারাপার করতে সেতু বিভাগ, ট্রাফিক পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।