প্রতিনিধি নাটোর
![]() |
গুরুদাসপুর থানার এসআই আবু জাফর মৃধার বিরুদ্ধে মামলা থেকে এক প্রবাসীকে বাদ দেওয়ার আশ্বাসে ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে | ছবি: সংগৃহীত |
যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসীকে মামলা থেকে বাদ দেওয়ার আশ্বাসে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগে উপপরিদর্শক (এসআই) আবু জাফর মৃধাকে গুরুদাসপুর থানা থেকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে প্রত্যাহারের আদেশ পাওয়ার পর তিনি দুপুরে নাটোর পুলিশ লাইনসে যোগ দিয়েছেন।
পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মারামারির একটি মামলা থেকে একজন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসীকে বাদ দেওয়ার আশ্বাসে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ ওঠে এসআই আবু জাফর মৃধার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরপরই তা তদন্তে পুলিশ সুপার একটি কমিটি গঠন করে দেন।
তাৎক্ষণিক তদন্তে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত হলে পুলিশ সুপার গতকাল মঙ্গলবার রাতেই ওই এসআইকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। আজ সকালে প্রত্যাহারের আদেশ পাওয়ার পরই এসআই আবু জাফর মৃধা নাটোর পুলিশ লাইনসে এসে সংযুক্ত হন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে বিভাগীয় কার্যক্রম শুরু হবে।
ভুক্তভোগী রাসেল হোসাইন দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। তবে গুরুদাসপুরের চাঁচকৈড় বাজারে তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। গোলাম রাব্বি নামের এক ব্যক্তি ওই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। গোলাম রাব্বি জানান, তাঁর মালিক রাসেল হোসাইন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করার সময় গত ১৫ মে চাঁচকৈড় বাজার এলাকায় ইটভাটা ব্যবসায়ী ফরিদ মোল্লার ছেলে রুবেল মোল্লাকে কে বা কারা মারধর করে। এ ঘটনায় পরদিন ফরিদ মোল্লা প্রবাসী রাসেল হোসাইনকে হুকুমদাতা হিসেবে আসামি করে গুরুদাসপুর থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান গুরুদাসপুর থানার এসআই আবু জাফর মৃধা।
গোলাম রাব্বি জানান, রাসেল হোসাইনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে তাঁকে মামলা থেকে বাদ দেওয়ার কথা বলে তাঁর (গোলাম রাব্বি) কাছে প্রায়ই ঘুষ দাবি করতেন এসআই আবু জাফর। সর্বশেষ গত সোমবার রাতে পুলিশের ওই কর্মকর্তা তাঁর মুঠোফোনে কল করে মালিক রাসেল হোসাইনকে মামলা থেকে বাদ দেওয়ার আশ্বাসে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। এর মধ্যে এক লাখ টাকা ঈদের আগেই দিতে হবে বলে সতর্ক করে দেন এসআই। মুঠোফোনের এই কথা রেকর্ড করা হয় এবং তার একটি কপি পুলিশ সুপারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।