প্রতিনিধি পাবনা

রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের চুল্লি  | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য রূপপুর-গোপালগঞ্জ বিদ্যুৎ সঞ্চালন কাজ শেষ হয়েছে। সোমবার পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) লাইনটিতে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। ১৫৮ কিলোমিটার ৪০০ কেভি গ্রিড লাইনটি এখন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছে পিজিসিবি কর্তৃপক্ষ।

পিজিসিবির সুপারিনটেনডেন্ট ও রূপপুর প্রকল্পের নদী ক্রসিং লাইন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পদ্মা নদীতে দুটি টাউয়ার স্থাপনের জন্য সঞ্চালন লাইনটি অসম্পূর্ণ ছিল। গত সপ্তাহে টাউয়ার দুটির কাজ শেষ হয়েছে। পরে নতুন টাওয়ারের সঙ্গে গ্রিড লাইন সংযুক্ত করা হয়েছে। দেলোয়ার হোসেন বলেন, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য রূপপুর-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি গ্রিড লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকল্পের কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে।

এর আগে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য রূপপুর-বাঘাবাড়ী ২৩০ কেভি ডাবল গ্রিড লাইন ও রূপপুর-বগুড়া ৪০০ কেভি গ্রিড লাইনের কাজ শেষ হয়েছে। এবার রূপপুর-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি গ্রিড লাইনের কাজ শেষ হলো।

বর্তমানে রূপপুর থেকে ঢাকার আমিনবাজার ৪০০ কেভি ডাবল সার্কিট এবং রূপপুর-ধামরাই ২৩০ কেভি ডাবল লাইনের কাজ চলমান রয়েছে। যমুনা নদীর ওপর সাত কিলোমিটার গ্রিড লাইনের কাজ চলছে। এই দুটি লাইনের কাজ আগামী বছর শেষ হবে বলে পিজিসিবি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

জানতে চাইলে প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘রূপপুর প্রকল্প কর্তৃপক্ষ ইউনিট-১–এর জন্য চারটি গ্রিড লাইনের কাজ শেষ করার কথা বলেছিলেন। আমরা প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করেছি। অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজ শেষে খুব দ্রুতই প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে বলে আশা করছি।’

রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের নকশা ও বাস্তবায়ন হচ্ছে রাশিয়ান পরিকল্পনা অনুযায়ী। নকশা ও বাস্তবায়ন করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় করপোরেশন রোসাটমের প্রকৌশল বিভাগ। প্রকল্পে দুটি ইউনিটে ভিভিইআর রিয়াক্টর থাকবে। প্রতিটি ইউনিটে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। দুই ইউনিট মিলে মোট উৎপাদন হবে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।