নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা

ইরানে ইসরায়েলি আগ্রাসন ও ফিলিস্তিনে দেশটির অব্যাহত গণহত্যার প্রতিবাদে এবং সাম্প্রতিক যুদ্ধে ইসরায়েলকে ইরানের প্রতিরোধের প্রতি সংহতি জানিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ মিছিল ও সংহতি সমাবেশ। শুক্রবার বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর প্রাঙ্গণে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

ইসলামি শক্তিগুলোর ঐক্য এখন সময়ের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ। তিনি বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের ঐক্য না হলে দেশ, ইসলাম ও স্বাধীনতা—তিনটিই বিপন্ন হবে।

শুক্রবার ঢাকায় বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর প্রাঙ্গণে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সংহতি সমাবেশে জালালুদ্দীন আহমদ এ কথা বলেন।

ইরানে ইসরায়েলি আগ্রাসন ও ফিলিস্তিনে দেশটির অব্যাহত গণহত্যার প্রতিবাদে এবং সাম্প্রতিক যুদ্ধে ইসরায়েলকে ইরানের প্রতিরোধের প্রতি সংহতি জানিয়ে আজ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।

ঢাকার সমাবেশে জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েল এখন শুধু ফিলিস্তিনেই নয়, ইরানেও সরাসরি আগ্রাসন চালিয়ে মুসলিম উম্মাহর অস্তিত্বকে চ্যালেঞ্জ করছে। বর্তমান সময়ে ফিলিস্তিনে যা হচ্ছে, তা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব বলেন, জাতিসংঘ, ওআইসি (ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা) সবাই নিষ্ক্রিয়। এ অবস্থায় মুসলিম দেশগুলোর সম্মিলিত কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক জোট ছাড়া মুসলমানদের রক্ষার আর কোনো পথ নেই।

জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইরান সাহসিকতা ও ন্যায্য প্রতিরোধের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে, অন্যায়ের জবাব একমাত্র প্রতিরোধের মাধ্যমেই সম্ভব।

জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার ঘোষিত মাসব্যাপী কর্মসূচির বিষয়ে জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, ফ্যাসিবাদের পতনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার ঘোষিত মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় শাহবাগপন্থী নাস্তিক্যবাদী দর্শনের প্রতিফলন চলবে না। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জুলাই ঘোষণাপত্রে ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের শহীদদের স্বীকৃতি, পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।’

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ হাদী, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ছানাউল্লাহ আমিনী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবু হানিফ নোমান, যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আল আবীদ শাকির, ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় নেতা মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন হাসিব বক্তব্য দেন।

পরে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর প্রাঙ্গণ থেকে একটি মিছিল পল্টন হয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংকের মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া ও মোনাজাত করেন।