প্রতিনিধি পটুয়াখালী
![]() |
১৪৪ ধারা | প্রতিকি ছবি |
পটুয়াখালীর গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলার পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। আজ শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত এই ১১৪ ধারা বলবৎ থাকবে। আজ সকালে গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় গলাচিপা উপজেলার পাতাবুনিয়া বাজারের অবরুদ্ধ হন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর ও তাঁর সঙ্গে থাকা গণ অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুনের অনুসারীরা তাঁকে অবরুদ্ধ করেন বলে অভিযোগ। পরে দিবাগত রাত ১টার দিকে কয়েক প্লাটুন সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগে নুরুল হকের বহরে থাকা দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে বলে দাবি করা হয়।
এরও
আগে গতকাল রাত ৮টার দিকে নুরুল হকের গ্রামের বাড়ির সামনে উপজেলার চর
বিশ্বাস বাজারে স্থানীয় বিএনপি ও গণ অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে
জড়িয়ে পড়েন। এ সময় উভয় পক্ষে বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
এমন
অবস্থায় পটুয়াখালী–৩ আসনের অন্তর্গত গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলার পৌর এলাকায়
১৪৪ ধারা জারি করা হয়। সংশ্লিষ্ট এলাকায় সব ধরনের সভা, সমাবেশ, বিক্ষোভ
মিছিল, গণজামায়েত, বিস্ফোরক দ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র ও সব প্রকার দেশীয় অস্ত্র
ইত্যাদি বহন এবং সংশ্লিষ্ট এলাকায় ৫ অথবা অধিক ব্যক্তির অবস্থান ও চলাফেরা
নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। দুই উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেনাবাহিনী, র্যাব ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা
হয়েছে।
গলাচিপা থানার ওসি মো. আশাদুর রহমান বলেন, গতকাল থেকে বিএনপি ও গণ অধিকার পরিষদের মধ্য উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাই উপজেলা প্রশাসন গলাচিপা পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারির আদেশ দিয়েছেন। এ আদেশ অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ মাঠে অবস্থান করছে। আজ শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত আদেশ বলবৎ থাকবে বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরতিজা হাসান ও দশমিনা থানার ওসি আবদুল আলিমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন ধরেননি।