নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা
![]() |
বিবৃতি | প্রতীকী ছবি |
প্রকাশ্য জনসভায় নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্যদের গালির ঘটনায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের দুঃখপ্রকাশকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আইনি নোটিশ পাঠানো এনসিপির তিন নেত্রীসহ ছয়জন নারী। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলামকে সাধুবাদ জানান তাঁরা। তবে হেফাজতে ইসলামের দুঃখপ্রকাশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা কিছু বিষয়ে সংগঠনটির বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন এই নারীরা।
বিবৃতিতে ছয় নারী বলেন, ‘নারীকে পাবলিক স্পেসে গালি দেওয়ার পর লিগ্যাল নোটিশের উত্তরে তাদের ক্ষমা চাওয়াকে আমরা সাধুবাদ জানাই এবং গ্রহণ করি। তবে আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ করেছি তারা প্রেস রিলিজে বলেছেন, নারীকে পণ্য বানানোর পশ্চিমা এজেন্ডা তাঁরা মেনে নেবেন না এবং ধর্মীয় ইস্যুতে বাড়াবাড়ি করলে ছাড় দেবেন না। এ ছাড়া তাঁরা বলেন, উগ্র নারীবাদীদের লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ফ্রেমিং-এর রাজনীতি থেকে তাঁদের আমরা বেরিয়ে আসার আহ্বান জানাই। কারও মতের সাথে না মিললেই তাঁকে কোনো না কোনো ট্যাগ দেওয়া যাবে না।’
ছয় নারীর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্ষমাপ্রার্থনাকে মেনে নিয়েই তাঁদের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে, ভবিষ্যতে টেবিল টক কিংবা পাবলিক ডিবেটের মাধ্যমে নারীদের সাথে আলাপে অংশ নিতে। নারীর সমঅধিকার কোনোভাবেই পশ্চিমা এজেন্ডা নয়। সমাজে সকলেই বিরাজ করবেন নিজ নিজ ক্ষমতায় আর সেটিই সমাজের নিয়ম। আমরা আশা করব, তাঁরা নিজেদের চিন্তাচেতনাকে আরও শাণিত করবেন। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতি সম্মান রেখেই আমাদের ৬ নারীর আহ্বান থাকবে, নারীর সাম্য ও সামাজিক মর্যাদার বিষয় নারীই বুঝবেন এবং তাঁরা যেন সে ক্ষেত্রে এগিয়ে আসেন।’
২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানই নারীদের শক্তি তথা ক্ষমতা বোঝার সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পেছনে নারীদের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তাই যেকোনো দ্বিমতে এক টেবিলে বসে কথা বলার পরিস্থিতি বজায় রাখবেন এবং ভবিষ্যতে একটি সামাজিক চুক্তিতে আসবেন বলে তাঁদের বিশ্বাস।