প্রতিনিধি পাবনা

গরমে শীতল হতে পুকুরে দুরন্তপনায় মেতেছে শিশু | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

পাবনার ঈশ্বরদীতে আজ শনিবার বিকেল তিনটায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এটি মাঝারি মাত্রার তাপপ্রবাহ, যা কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন বলেন, ‘গতকালের তুলনায় তাপমাত্রা বেড়েছে। আজ মাঝারি তাপপ্রবাহ বইছে, এবং এমন অবস্থা আগামী দিনগুলোতেও থাকতে পারে।’

চৈত্রের এই প্রচণ্ড গরমে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। রোদ ও গরম উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে অনেকেই বের হয়েছেন। কেউ গামছা বা রুমাল দিয়ে মাথা ঢাকছেন, কেউবা ছাতা ব্যবহার করছেন। গরম থেকে সাময়িক স্বস্তি পেতে অনেককে পুকুর বা লেকে সাঁতার কাটতেও দেখা গেছে।

বাঘইল এলাকায় পুরোনো একটি ভবন ভাঙার কাজ করছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। তাঁদের একজন, ফয়েজ মিয়া বলেন, ‘একটু পরপর গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। পানি খাচ্ছি বারবার, তবুও ঘাম ঝরছে প্রচণ্ড। এই রোদের মধ্যে কাজ করা খুবই কষ্টকর।’

ঈশ্বরদী বাজার এলাকায় কথা হয় রিকশাচালক মো. রশিদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বেলা ১১টার পর থেকে বিকেল পর্যন্ত রাস্তায় মানুষ কম থাকে। গরমে কেউই বের হতে চায় না। পেটের দায়ে রিকশা নিয়ে বের হতে হয়। আজ এখনো ২০০ টাকার কাজও হয়নি।’

ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলী এহসান বলেন, ‘এই গরমে বেশি পানি পান করতে হবে। সরাসরি রোদের মধ্যে না যাওয়াই ভালো, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক থাকা দরকার।’