প্রতিনিধি পাবনা

ঈশ্বরদীতে বালুমহালের বালু ওঠানো নিয়ে সংঘাতের পর এলাকায় পুলিশ সদস্যদের মোতায়েন করা হয় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

পাবনার ঈশ্বরদীতে বালুমহালের দখল নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে পদ্মা নদীর সাঁড়া ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার রূপপুর গ্রামের রেজাউল হক (৫০), তালতলা এলাকার সানাউল্লাহ প্রামাণিক (৫২), তিন বটতলা এলাকার চপল হোসেন (৪৫), কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদগ্রামের সেলিম আহমেদ (৪৫) ও সৈকত ইসলাম (৪০), গোলাপনগর গ্রামের রিপন হোসেন (৪৫) ও রাসেল (৩৫)। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় সেলিম ও সৈকতকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ বলে জানা গেছে।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈশ্বরদী উপজেলার পদ্মা নদী তীরবর্তী সাঁড়া অংশটি নাটোরের লালপুর ও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা সীমানায় লাগোয়া। সেখানে বালু উত্তোলন নিয়ে বিরোধ চলছে। আজ সকালে ঈশ্বরদী এলাকার লোকজন সেখানে বালু তুলছিল। এ সময় দুটি স্পিডবোটে করে কিছু লোক সেখানে গিয়ে হামলা চালায়। তখন গুলির ঘটনাও ঘটে।

বালুমহালের সাঁড়া অংশের ইজারাদার সুলতান আলী  টনি বিশ্বাস জানান, 'তিনি ইজারা নিয়ে সেখানে দীর্ঘদিন ধরে বালু তুলছেন। আজ সকালে বালু তোলার জন্য লোকজন নৌকা নিয়ে বালুমহালের দিকে যান। এ সময় হঠাৎ লালপুরের দিক থেকে তিনটি নৌকায় করে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এক দল লোক তাঁর লোকজনের ওপর হামলা চালায়।'

ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন,  ‘মূলত বালুর ইজারা ও খাজনা আদায় নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ থেকে এ সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।'

এদিকে লক্ষ্মীকুন্ডা নৌ পুলিশের ওসি ইমরান মাহমুদ জানান, 'খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই দুর্বৃত্তরা নৌকা ও স্পিডবোট নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।'