প্রতিনিধি চট্টগ্রাম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অব্যাহতি পাওয়া মুখপাত্র ফাতেমা খানম | ছবি: সংগঠনটির মিডিয়া গ্রুপ থেকে 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক আরিফ মঈনউদ্দীন ও সদস্যসচিব নিজাম উদ্দিনকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সংগঠন থেকে সদ্য অব্যাহতি পাওয়া ফাতেমা খানম লিজা। আজ রোববার বিকেলে আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবকে আইনি নোটিশ পাঠান তিনি। নোটিশে সাত দিনের মধ্যে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। না হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

ফাতেমা খানম সংগঠনটির চট্টগ্রাম মহানগরের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় তাঁকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে এদিন এক ভিডিও বার্তায় তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ দুই ঘণ্টার মধ্যে প্রমাণ করার জন্য সংগঠনটিকে সময় বেঁধে দিয়েছিলেন তিনি। না হলে সংগঠনটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন।

আইনি নোটিশে উল্লেখ করা হয়, আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব ফাতেমা খানমের বিরুদ্ধে দলীয় নীতিমালা ভঙ্গ এবং মাদক সেবন ও অসামাজিক জীবনযাপনের মিথ্যা অভিযোগ তুলে ব্যক্তিগত চরিত্র হরণ করেছেন। এই বহিষ্কারাদেশ সংগঠনের নিয়ম ও আইন পরিপন্থী। তাই সাত দিনের মধ্যে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে হবে। না হলে ফাতেমা খানম আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।

শনিবার সন্ধ্যায় সংগঠনটির চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক আরিফ মঈনউদ্দীন ও সদস্যসচিব নিজাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ফাতেমাকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা বলা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি ফাতেমা খানম লিজার মাদক সেবন এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এই প্ল্যাটফর্মের সদস্যের এমন অনিয়ন্ত্রিত ও অসামাজিক কার্যকলাপ জনমনে প্রশ্ন তৈরি করেছে। তাই তাঁকে পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।’

এ ঘটনাকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করে ভিডিও বার্তায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ফাতেমা খানম। শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, চট্টগ্রাম মহানগর (মিডিয়া)’ নামের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ৪৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বার্তা দেন তিনি। এতে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রমাণ দিতে সংগঠনকে দুই ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন। এরপর গতকাল আইনি নোটিশ পাঠান তিনি।

জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক আরিফ মঈনুদ্দিন বলেন, আইনি নোটিশ যে কেউ যে কাউকে পাঠাতে পারে। তিনি এগুলোর জবাব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করছেন না। সংগঠনের মূল্যবোধ বজায় রাখার জায়গা থেকে ফাতেমা খানমকে বহিষ্কার করা হয়েছে।