[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

জামায়াত নেতা আজহারের খালাস জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ভেঙে দিয়েছে: গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট

প্রকাশঃ
অ+ অ-

নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা

বিবৃতি | প্রতীকী ছবি

একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে জামায়াতে ইসলামীর নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় প্রত্যাখ্যান করেছে বামপন্থী সাতটি ছাত্রসংগঠনের মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট। তারা বলেছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার এবং স্বাধীন বিচারব্যবস্থার আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি করেছিল। দুঃখজনকভাবে এই রায় সেই প্রত্যাশাকে ভেঙে দিয়েছে। জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে মানুষের মধ্যে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, এই রায় সেই শঙ্কাকে আরও দৃঢ় করল।

আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি দিলীপ রায়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি তামজিদ হায়দার, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (ইউপিডিএফ) সভাপতি অমল ত্রিপুরা, ছাত্র ফেডারেশনের (জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল) সভাপতি মিতু সরকার ও বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তাওফিকা প্রিয়া।

এর আগে আজ সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত সদস্যের বেঞ্চ জামায়াতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারকে খালাস দেন।

এ টি এম আজহারের মামলার রায় বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেনি মন্তব্য করে বামপন্থী ছাত্র জোটের বিবৃতিতে বলা হয়, আজহারের মামলায় আপিল বিভাগের রিভিউ শুনানির রায় হয়েছে আজ। রায়ে তাঁকে নির্দোষ ঘোষণা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের গণদাবিকে প্রহসনে পরিণত করেছিল, নিজের ক্ষমতায় টিকে থাকার হাতিয়ার বানিয়েছিল এবং ত্রুটিপূর্ণ বিচার করেছিল। প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে তারা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে, জাতির সঙ্গে বেইমানি করেছে। এতে বিচারব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে।

এ টি এম আজহার ও তাঁর দল জামায়াতে ইসলামী মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষে দাঁড়িয়েছিল ও গণহত্যায় অংশগ্রহণ করেছিল উল্লেখ করে জোট বলেছে, আওয়ামী লীগ আমলে ঘোষিত আজহারের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন থাকলে নতুন করে শুনানি শুরু করা যেত। সেটাই স্বাভাবিক আইনি প্রক্রিয়া। অথচ তা না করে রিভিউ শুনানির রায়ে তাঁকে নির্দোষ ঘোষণা করা হলো। মুক্তির প্রক্রিয়াটি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত। এর মাধ্যমে আদালতের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। বিচারব্যবস্থা যে এখনো পুরো মাত্রায় রাজনৈতিক প্রভাবাধীন, তা প্রমাণিত হলো।

রায় প্রত্যাখ্যান করে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট আরও বলেছে, মুক্তিযুদ্ধকে আওয়ামী লীগ যেভাবে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করেছে, তাকে প্রতিরোধ করেছিল জুলাই গণ-অভ্যুত্থান। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার এবং স্বাধীন বিচারব্যবস্থার আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি করেছিল। দুঃখজনকভাবে এই রায় সেই প্রত্যাশাকে ভেঙে দিয়েছে। জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে মানুষের মধ্যে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, এই রায় সেই শঙ্কাকে আরও দৃঢ় করল।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন