প্রতিনিধি ঝালকাঠি

আদালত | প্রতীকী ছবি

ঝালকাঠিতে আদালতের কক্ষে পরনের শাড়িতে কেরোসিন ঢালার পর আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এক নারী। তবে আদালতে উপস্থিত পুলিশ ও বিচারপ্রার্থীরা তাৎক্ষণিক ছুটে এসে আগুন দেওয়া থেকে তাঁকে নিবৃত্ত করলে কোনো অঘটন ঘটেনি। আজ রোববার দুপুরে নলছিটি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (চতুর্থ তলা) আসামিদের কাঠগড়ার সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, নলছিটি উপজেলার দপদিপয়া ইউনিয়নের কয়া গ্রামের এইচ এম শাহ আলমের মেয়ে নুসরাত জাহান (২১) তাঁর স্বামী আল আমিনের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় বর্তমানে আল আমিন কারাগারে আছেন। মামলাটি করার পরই আল আমিন তাঁর স্ত্রীকে তালাকের নোটিশ দেন। আজ মামলাটির ধার্য তারিখে বাদী নুসরাত জাহান তাঁর স্বামী আল আমিনের সঙ্গে পুনরায় সংসার করার জন্য জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু স্বামী আল আমিন নুসরাতের সঙ্গে সংসার করতে চান না।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, আদালতের বিচারক মিরাজুল ইসলাম এজলাসে ওঠার আগে সংসার করা নিয়ে কাঠগড়ার সামনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাদানুবাদ হয়। একপর্যায়ে কাঠগড়ার সামনে নিজের পরনের শাড়িতে কেরোসিন ঢালেন নুসরাত জাহান। এরপর তিনি ম্যাচ বের করে শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে আদালতে উপস্থিত পুলিশ ও বিচারপ্রার্থীরা তাৎক্ষণিক তাঁকে নিবৃত্ত করেন।

পরে আদালতের বিচারকের নির্দেশে ওই নারীকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়। এদিকে স্বামী আল আমিনের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান আদালতের বিচারক মিরাজুল ইসলাম। আজ বিকেলে আদালত পুলিশ ওই নারীকে পরিবারের জিম্মায় দিয়েছে।

নুসরাত জাহানের আইনজীবী হোসেন আকন খোকন বলেন, আদালতের বিচারক এজলাসে ওঠার আগেই কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। স্বামী তালাকের নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও পুনরায় সংসার করার দাবিতে স্বামীর জামিন চেয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক পুলক চন্দ্র রায় বলেন, পুলিশের তৎপরতায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। মানবিক কারণে ওই নারীকে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।