{getBlock} $results={3} $label={ছবি} $type={headermagazine}

ভোলায় পাঁচ রুটে বাস ধর্মঘট, অটোরিকশায় হামলা ও আগুন

প্রকাশঃ
অ+ অ-

প্রতিনিধি ভোলা

ভোলার পাঁচটি সড়কে আবার বাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন বাসশ্রমিকেরা। সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ। রোববার বিকেলে ভোলা-চরফ্যাশন মহাসড়কে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

ভোলার পাঁচ রুটে আবার অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডেকেছে বাস–মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন। রোববার বিকেল পাঁচটার দিকে সদর উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় যানজটে আটকে পড়াকে কেন্দ্র করে বাসশ্রমিক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি, হাতাহাতি ও সংঘর্ষ হয়। এরপর সাড়ে পাঁচটার দিকে ধর্মঘটের ডাক দেয় বাস শ্রমিক ইউনিয়ন।

সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিক সমিতির দাবি, বাংলাবাজারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাস–মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের কর্মীরা কয়েকটি অটোরিকশা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন। তবে বাস শ্রমিক ইউনিয়নের দাবি, অটোরিকশাচালকেরা পাঁচ স্থানে বাসশ্রমিকদের মারধর ও দুটি বাস ভাঙচুর করেছেন।

ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ বলেন, তাঁরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।

এর আগে গত ২৭ এপ্রিল বাস–মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন ভোলার পাঁচ রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। ২৮ এপ্রিল ভোলার প্রশাসন দুই পক্ষকে ডেকে সমঝোতা করিয়ে দিলে শ্রমিক ইউনিয়ন ধর্মঘট তুলে নেয়।

প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিক, অটোরিকশাচালক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোলার বাংলাবাজার সেতুর আগে দৌলতখানের জয়নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ভোলা-চরফ্যাশন মহাসড়কের ওপর ব্যাটারি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা রাখায় প্রায়ই যানজট লাগে। আজ বিকেলে বিশাল যানজট লেগে গেলে বেশ কিছু বাস আটকে পড়ে। এ ঘটনায় বাসচালকেরা সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকদের দোষারোপ করলে বাসের শ্রমিক ও অটোরিকশাচালকদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর ভোলায় এসে বাস–মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাস মালিক সমিতির নেতারা বৈঠক করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডাকেন। পরে বাসশ্রমিকেরা ভোলার মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভোলা-চরফ্যাশন মহাসড়কের ওপর টায়ার জ্বালান। বাস বন্ধ হলে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। এ সময় অটোরিকশায় যাত্রী পরিবহন শুরু হলে বাসের শ্রমিকেরা কয়েকটি অটোরিকশায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।

বাস–মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, পরিকল্পিতভাবে পাঁচটি স্থানে সিএনজিচালকেরা বাসশ্রমিকদের গায়ে হাত দিয়েছেন এবং দুটি বাস ভাঙচুর করেছেন। এ কারণে তাঁরা ধর্মঘট ডেকেছেন।

সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিক-শ্রমিক সমিতির সভাপতি মো. জাকির হোসেন বলেন, বাসশ্রমিকেরা ধর্মঘট ডাকার পর যাত্রী পরিবহন করায় বাসস্ট্যান্ডের মধ্যে চারটি সিএনজি নিয়ে তিনটি ভাঙচুর ও একটিতে অগ্নিসংযোগ করেন। পরে ক্ষুব্ধ চালকেরা লালমোহনে দুটি বাস আটকে রাখেন। তবে ভাঙচুর করেননি।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন