[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

চট্টগ্রাম বন্দর হস্তান্তর আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে: ১২-দলীয় জোট

প্রকাশঃ
অ+ অ-

নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা

যেকোনো মূল্যে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) দেশি প্রতিষ্ঠানের হাতেই থাকতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি কোম্পানিকে লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হবে আত্মঘাতী। অভিজ্ঞতার কথা বলে জাতীয় অর্থনীতির প্রধান ‘লাইফ লাইন’ চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না। বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে ১২–দলীয় জোটের নেতারা এসব কথা বলেছেন।

জোটের নেতারা বলেন, নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত প্রধান সমুদ্রবন্দর বিদেশি কোম্পানির তত্ত্বাবধানে দেওয়ার তৎপরতা জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী। এত বড় জাতীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত এককভাবে নেওয়ার কোনো এখতিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই।

প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিদর্শনে গিয়ে এক অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘যারা বন্দরের ব্যবস্থাপনায় অভিজ্ঞ, পৃথিবীর সেরা যারা, তাদের দিয়ে এই কাজ করাতে হবে, যেভাবেই হোক। মানুষ যদি রাজি না হয়, জোরাজুরি নয়, রাজি করিয়েই করতে হবে। কারণ, এটা এমন এক বিষয়, পুরো জিনিস শুনলে রাজি না হওয়ার কোনো কারণ নেই।’

১২–দলীয় জোটের নেতারা অভিযোগ করে বলেন, দেশের টাকায় নির্মিত জেটি ও নিজেদের অর্থে কেনা যন্ত্রপাতি দিয়ে সাজানো চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালকে বিদেশি প্রতিষ্ঠান দিয়ে পরিচালনা করার ফ্যাসিস্ট সরকারের সিদ্ধান্তকে অন্তর্বর্তী সরকার বাস্তবায়ন করছে।

নির্মাণের ১৭ বছর পর কেন একটি সফল টার্মিনালকে বিদেশিদের হাতে তুলে দিতে হবে—এমন প্রশ্ন রেখে এই জোটের নেতারা বলেন, টার্মিনালটিতে জাহাজ থেকে বার্ষিক ১০ লাখ একক কনটেইনার ওঠানো–নামানোর স্বাভাবিক ক্ষমতা রয়েছে। সেখানে দেশীয় অপারেটর গত বছর এই টার্মিনালে জাহাজ থেকে ১২ লাখ ৮১ হাজার কনটেইনার ওঠানো–নামানোর কাজ করেছে। তাহলে কাকে খুশি করতে বা কী চক্রান্ত বাস্তবায়ন করতে বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলছে সরকার?

১২–দলীয় জোটের নেতারা বলেন, টার্মিনালটি বিদেশি অপারেটরকে দিয়ে পরিচালনা করলে চট্টগ্রাম বন্দরের রাজস্ব আয় অর্ধেকের চেয়ে কমে যাবে। ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে নিয়োজিত শ্রমশক্তি কর্মসংস্থান হারাবে। বিদেশি অপারেটররা লাভের অংশ বিদেশি মুদ্রায় বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যাবে; নতুনভাবে বৈদেশিক বিনিয়োগের কোনো সুযোগ নেই। ফলে এটি একেবারে আত্মঘাতী একটি সিদ্ধান্ত, যার পেছনে আন্তর্জাতিক চক্রান্তের বাইরে কিছুই দেখা যাচ্ছে না।

অবিলম্বে অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘দেশবিরোধী’ এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ১২–দলীয় জোটের নেতারা।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান ও ১২–দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুর রকিব প্রমুখ।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন