প্রতিনিধি পটুয়াখালী
![]() |
বাউফল ছালেহিয়া ফাজিল মাদ্রাসা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
পটুয়াখালীতে দাখিল পরীক্ষার কেন্দ্রে হিজাব না খোলায় চার ছাত্রীর পরীক্ষার খাতা নির্ধারিত সময়ের আগে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে বাউফল উপজেলার ছালেহিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে হাদিস বিষয়ের পরীক্ষা চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
কেন্দ্রে পরিদর্শন করতে আসা কর্মকর্তারা চার হিজাব পরা ছাত্রীকে মুখ না খোলার কারণে তাদের উত্তরপত্র কেড়ে নিয়ে যান। একজন ছাত্রীর কান্নার পর তার খাতা ফেরত দিলেও বাকি তিন জনের খাতা আর ফেরত দেওয়া হয়নি।
জানা গেছে, বাউফলের ছালেহিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে এ বছর মোট ১৭২ শিক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। এই কেন্দ্রের ট্যাগ অফিসার ছিলেন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) প্রকল্প কর্মকর্তা তুরাল প্রামাণিক। বুধবার হাদিস বিষয়ের পরীক্ষা চলাকালে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে কেন্দ্রের উত্তর ভবনের দ্বিতীয় তলার পশ্চিম পাশের কক্ষে ঢুকে ট্যাগ অফিসার সব পরীক্ষার্থীকে হিজাব খোলার নির্দেশ দেন।
উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানান, হঠাৎ একজন কালো পোশাক পরা পুরুষ কর্মকর্তা রুমে ঢুকে সবাইকে মুখ দেখাতে বলেন। অনেক ছাত্রী আপত্তি জানালেও তাকে থামানো যায়নি। চার ছাত্রী মুখ না খোলায় তাদের খাতা কেড়ে নেওয়া হয়। একজন কান্নাকাটি শুরু করলে কিছু সময় পর তার খাতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। বাকি তিন জনের খাতা ফেরত দেওয়া হয়নি।
এক পরীক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমি ৮০ নম্বরের উত্তর লিখেছি। হিজাব না খোলার কারণে তিনি আমার খাতা নিয়ে গেছেন। এটা আমাদের ধর্মীয় অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কেন্দ্র সচিব ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নজিরুল হক বলেন, এ ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। আজ কোনও ম্যাজিস্ট্রেট পরীক্ষা কেন্দ্রে ছিল না, শুধু ট্যাগ অফিসার ছিলেন।
অপরদি কেন্দ্রে পরিদর্শন কর্মকর্তারা তুরাল প্রামাণিক বলেন, আমি কোনও শিক্ষার্থীর খাতা নেইনি, হিজাব খোলার প্রশ্নই আসে না। তবে কেন্দ্রের অধ্যক্ষ কয়েকজন ছাত্রীকে হিজাব খুলতে বলেছেন, তারা ভুয়া কিনা যাচাই করার জন্য।
এ বিষয়ে জানতে বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে পাওয়া যায়নি।