[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

রাজশাহীর রোদের উত্তাপে হাঁসফাঁস জনপদ

প্রকাশঃ
অ+ অ-

প্রতিনিধি রাজশাহী

মায়ের আঁচলে রোদের তাপ থেকে বাঁচার চেষ্টা করছে শিশুটি। আজ দুপুরে রাজশাহী নগরের শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান চত্বরে (রেলগেট) তোলা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

রাজশাহী নগরের চৌদ্দপায় এলাকার ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক। দুপুর রোদে সড়কটির পাশেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়াল তৈরি করছেন একদল শ্রমিক। তপ্ত রোদ থেকে বাঁচতে কেউ মাথায় বেঁধেছেন মাথায় গামছা, কেউ পরেছেন ক্যাপ। এর মধ্যে গরমে হাঁসফাঁস করতে করতে মাশরাফি নামের এক তরুণ শ্রমিক জানালেন, ‘তাপমাত্রা এত যে গা পুড়ে যাচ্ছে। মাথায় কিছু না দিলে মনে হয়, চুলে আগুন ধরে গেছে।’

সেখানে আরও কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা বলেন, এমন গরমে কাজ করতে তাঁদের বেশ অস্বস্তি বোধ হচ্ছে। নিরুপায় হয়ে বারবার পানি পান করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

শ্রমিকদের যখন এই প্রতিবেদকের কথা হচ্ছিল, তখন ঘড়ির কাঁটা দুপুর ১২টা পেরিয়েছে। ওই সময় রাজশাহীতে তাপমাত্রার পারদ উঠে গেছে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর আগের দিন মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি ছিল গত দিনে দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আজ বেলা তিনটার দিকে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে রাজশাহী আবহাওয়া অফিস। এটি চলতি মৌসুমের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে গত ২৮ মার্চ ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬-৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর বেশি হলে তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। সেই হিসেবে রাজশাহীতে আজ মাঝারি তাপপ্রবাহ চলছে। রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সহকারী পর্যবেক্ষক তারেক আজিজ বলেন, আজ রাজশাহীতে মাঝারি তাপপ্রবাহ বইছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীতে সর্বশেষ ১৮ এপ্রিল ২ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এর আগে জেলাটিতে চলতি বছরের সর্বোচ্চ ২৩ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। গত ১৮ এপ্রিল বৃষ্টির পর দুই দিন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। গত দুই দিন তাপমাত্রা কম থাকলেও গরমের তীব্রতাও ছিল।

নগরের শালবাগান এলাকায় কথা হয় রিকশাচালক মো. রহমতের সঙ্গে। তিনি রিকশা চালিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। তিনি বলেন, রাতে প্রচণ্ড তাপমাত্রার কারণে মাথাব্যথা করেছে। দিনের বেলাতেও প্রচুর তাপমাত্রা। পানি পান করেও স্বস্তি মিলছে না।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন