[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

৩ এপ্রিলও ছুটির প্রস্তাব, অনুমোদন হলে ঈদে টানা ৯ দিনের ছুটি

প্রকাশঃ
অ+ অ-

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রতীকী ছবি

পবিত্র ঈদুল ফিতরে এবার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ঘোষিত লম্বা ছুটি আরও লম্বা হতে পারে। ঈদ উপলক্ষে আগেই পাঁচ দিন টানা ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। সেখানে এখন আগামী ৩ এপ্রিলও নির্বাহী আদেশে আরও এক দিন ছুটি ঘোষণা করার প্রস্তাব উঠতে পারে আগামীকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠেয় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে। আর এই প্রস্তাব যদি অনুমোদন হয় তাহলে এবার ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা নয় দিনের ছুটি পাবেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজ বুধবার রাতে বলেন, ৩ এপ্রিলও নির্বাহী আদেশে ছুটি দেওয়ার প্রস্তাব আগামীকালের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উঠতে পারে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৩১ মার্চ পবিত্র ঈদুল ফিতর হতে পারে। সম্ভাব্য এই তারিখ ধরে আগেই পাঁচ দিনের ছুটির তারিখ নির্ধারণ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এই হিসাবে কাগজপত্রে ২৯ মার্চ শুরু হচ্ছে ঈদুল ফিতরের ছুটি। কিন্তু নির্ধারিত ছুটি শুরুর আগের দিন ২৮ মার্চ সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার। একই সঙ্গে একই দিন পবিত্র শবে কদরেরও ছুটি। ফলে বাস্তবে ছুটি শুরু হচ্ছে ২৮ মার্চ থেকে।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ছুটি শেষে অফিস খোলার কথা ছিল ৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার। তার পরের দুই দিন আবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার। এখন ৩ এপ্রিলও নির্বাহী আদেশে ছুটি হলে ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা নয় দিন ছুটি ভোগ করতে পারবেন সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীরা।

অবশ্য এই ছুটি শুরুর দুই দিন আগে আছে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ছুটি। পরদিন বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ এক দিন অফিস খোলা থাকবে। ফলে ছুটির সুযোগ আরও বেশি আছে।

বর্তমানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন প্রায় ১৫ লাখ। ছুটির বিধিমালা অনুযায়ী, দুই ছুটির মাঝে নৈমিত্তিক ছুটি নেওয়ার নিয়ম নেই। নিলে তা টানা ছুটি হয়ে যাবে। অবশ্য অর্জিত ছুটি নেওয়ার সুযোগ আছে। এ ছাড়া ঐচ্ছিক ছুটি নেওয়ারও সুযোগ আছে। অবশ্য প্রত্যেক কর্মচারীকে বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী নির্ধারিত তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করতে হবে। সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যুক্ত করে ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেওয়ার সুযোগ আছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলছে, যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি তাদের নিজস্ব আইনকানুন দিয়ে চলে (যেমন বাংলাদেশ ব্যাংক) অথবা যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের (জরুরি সেবাসংক্রান্ত) চাকরি সরকার অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করেছে, সেগুলো নিজস্ব আইনকানুন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে এই ছুটি ঘোষণা করবে।

দেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকে কর্মকর্তা-কর্মচারী দুই লাখের বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ঈদ সামনে রেখে প্রতিবছর বিশেষ ব্যবস্থায় সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের কিছু শাখা খোলা রাখা হয়। তবে এবার এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক।

পোশাকশিল্পে ছুটি

ম্যাপড ইন বাংলাদেশের (এমআইবি) ডিজিটাল মানচিত্র অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা আছে ৩ হাজার ৫৫৫টি। এসব কারখানায় কাজ করেন ৩০ লাখ ৫৩ হাজার শ্রমিক।

সুযোগ থাকলে ঈদের দু-তিন দিন আগে শ্রমিকদের ছুটি দিতে কারখানার মালিকদের অনুরোধ করেছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

বিজিএমইএর মহাসচিব মো. ফয়জুর রহমান সংগঠনটির সদস্যদের এক নোটিশে জানিয়েছেন, ঈদের ছুটিতে সড়ক, রেল এবং লঞ্চযাত্রায় একই দিন বাড়তি যাত্রীর চাপ কমানোর জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে ধাপে ধাপে শ্রমিকদের ঈদের ছুটি দিতে অনুরোধ করা হয়েছে। ফলে পণ্য জাহাজীকরণ (শিপমেন্ট), ক্রয়াদেশ ও উৎপাদনের সঙ্গে সমন্বয় করে সুযোগ থাকলে ঈদের দু-তিন দিন আগে শ্রমিকদের ছুটি দেওয়ার অনুরোধ করা যাচ্ছে। শেষ কর্মদিবসে শ্রমিকদের পণ্যবাহী ট্রাকে যাতায়াত না করা, অতিরিক্ত যাত্রী না হওয়া, অপরিচিত লোকের কাছ থেকে কিছু না খাওয়া ইত্যাদি বিষয়ে শ্রমিকদের সচেতন করতে কারখানার কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘ঈদের ছুটির আগে শিপমেন্টের চাপ থাকে। সে জন্য অধিকাংশ কারখানা শেষ কর্মদিবসে ছুটি দেয়। তবে কারও সুযোগ থাকলে আগে শ্রমিকদের ছুটির দেওয়ার অনুরোধ করেছি।’

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন