[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবার ইফতার আয়োজন, খাবার পাননি অনেকেই

প্রকাশঃ
অ+ অ-

প্রতিনিধি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

আয়োজনের তুলনায় রোজাদার শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় অনেকে মসজিদের মধ্যে জায়গা না পেয়ে সামনের আমবাগানে বসেন। রোববার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমবারের মতো শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য ইফতারের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু তবে মহতী এ উদ্যোগে আয়োজনের তুলনায় রোজাদার শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় অনেকটা বাধ্য হয়ে মসজিদের মাইকে এক প্যাকেট খাবার দুজনকে ভাগ করে খাওয়ার অনুরোধ জানায় কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া অব্যবস্থাপনার কারণে অনেকেই ইফতার না পেয়ে চলে গেছেন। আবার কেউ কেউ সময়মতো ইফতারও করতে পারেননি।

আয়োজকেরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে শিক্ষার্থীদের ইফতার বাবদ প্রায় ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আজ প্রথম রোজায় প্রায় ৪ হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থীর জন্য বিরিয়ানি রান্না করা হয়েছিল। সঙ্গে ছিল খেজুর ও সালাদ। এমন আয়োজনের মধ্য দিয়েই ইফতার অনুষ্ঠান শেষ হয়।

গত শুক্রবার ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার’ নামের ফেসবুক গ্রুপে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাসব্যাপী ইফতারের আয়োজনের ঘোষণা দেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে ব্যাপক প্রশংসা পায়। আজ রোববার রোজার প্রথম দিনে দুপুর গড়াতেই শুরু হয় রান্নার আয়োজন। ইফতার আয়োজন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কাজ করেন শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক। বিকেল হতেই বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ইফতারে অংশ নিতে কেন্দ্রীয় মসজিদে ভিড় করেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি অংশ ছিলেন নারী শিক্ষার্থীরা। তাঁদের জন্য শামিয়ানা দিয়ে প্যান্ডেল তৈরি করে আলাদা বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

সরেজমিনে দেখা যায়, আসরের নামাজের পরই মসজিদ প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। ইফতারের আগমুহূর্তেই মসজিদ প্রাঙ্গণ পরিপূর্ণ হয়ে যায়। মসজিদে জায়গা না পেয়ে অনেক শিক্ষার্থী সামনের আমবাগানে সারিবদ্ধভাবে বসে পড়েন। এ সময় খাবার সংকটের কারণে সব শিক্ষার্থীর মাঝে খাবার বণ্টন করা সম্ভব হয়নি। অনেকে খাবার নিতে শামিয়ানার নিচে এসে ধাক্কাধাক্কি করেন। একপর্যায়ে খাবার শেষ হয়ে গেলে অনেক শিক্ষার্থী খালি হাতে ফিরে যান।

সন্ধ্যার পর ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার’ নামের ফেসবুক গ্রুপে মো. আতাউল্লাহ বুখারি নামের একজন পোস্ট করে লিখেছেন, ‘এত বড় আয়োজন কিন্তু মসজিদের ভেতরে বসা সত্ত্বেও খাবার পৌঁছায়নি। পানি দিয়ে ইফতার করলাম। আলহামদুলিল্লাহ।’

‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ’ নামের আরেকটি গ্রুপে সাথী নামের এক আইডি থেকে বলা হয়, ‘হল থেকে এক বোতল পানি নিয়ে গেছিলাম। দুই বান্ধবী সেটা খেয়ে ইফতার করে আসলাম। আলহামদুলিল্লাহ।’

আরিফ মাহমুদ নামের এক শিক্ষার্থী কমেন্টে লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। অসাধারণ, সুন্দর উদ্যোগ। ধন্যবাদ আমাদের রাবি প্রশাসনকে। ইনশা আল্লাহ এমন আয়োজন অব্যাহত থাকুক। তবে আর একটু সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করতে হবে।’

আয়োজনের ব্যাপারে সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন বলেন, ‘এ রকম আয়োজন আগে কখনো করা হয়নি। এটি করা চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমাদের অনুমানের চেয়ে বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থী আসায় অনেকে খাবার পাননি। এ জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। আশা করছি, ভবিষ্যতে আর এমন হবে না। এসব বিষয় মাথায় নিয়ে আমরা কাজ করব।’

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন