[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

চট্টগ্রাম ইপিজেডে দুই কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

প্রকাশঃ
অ+ অ-

প্রতিনিধি চট্টগ্রাম

শ্রমিকদের দুই পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ | ছবি: সংগৃহীত

খাদ্য ও চিকিৎসা ভাতা বাড়ানোর দাবিতে চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) একটি কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেছেন। আজ সোমবার সকালে প্যাসিফিক ক্যাজুয়েলস লিমিটেডের শ্রমিকেরা এ বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে সেখানে আরেকটি কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে তাঁদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়।

এর আগে গতকাল রোববারও একই দাবিতে বিক্ষোভ করেছিলেন প্যাসিফিক ক্যাজুয়েলস লিমিটেডের শ্রমিকেরা। এরপর এক বিজ্ঞপ্তিতে আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ওই কারখানার দুটি ইউনিট বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। তাঁরা আজ আবারও কারখানার সামনে বিক্ষোভ করেন। এ সময় এনএইচটি ফ্যাশন লিমিটেডের শ্রমিকদের সঙ্গে তাঁদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

প্যাসিফিক ক্যাজুয়েলসের শ্রমিকদের দাবি, তাঁরা কারখানায় প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন। এ সময় এনএইচটি ফ্যাশন লিমিটেডের শ্রমিকেরা তাঁদের বাধা দেন। এতে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়, তবে এনএইচটি ফ্যাশন লিমিটেডের শ্রমিকেরা বলেন, ইপিজেড এলাকায় প্যাসিফিক গ্রুপের কারখানাগুলোতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে বাধা দেওয়ায় এনএইচটি ফ্যাশনের শ্রমিকদের ওপর হামলার চেষ্টা করা হয়েছে।

প্যাসিফিক ক্যাজুয়েলস লিমিটেড প্যাসিফিক নিট ডিভিশনের আওতাধীন। অন্যদিকে এনএইচটি ফ্যাশন লিমিটেড প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের আওতাধীন। দুটি প্রতিষ্ঠানেরই প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত ব্যবসায়ী মো. নাছির উদ্দিন। বর্তমানে প্যাসিফিক জিন্সের দায়িত্বে আছেন তাঁর এক ছেলে সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর। অন্যদিকে প্যাসিফিক ক্যাজুয়েলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাছির উদ্দিনের আরেক ছেলে সৈয়দ মোহাম্মদ তাহমীর।

শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল খাদ্য ভাতা, চিকিৎসা ভাতাসহ বিভিন্ন বাড়তি সুবিধার দাবিতে বিক্ষোভ করেন প্যাসিফিক ক্যাজুয়েলসের শ্রমিকেরা। একপর্যায়ে সেখানে কয়েকজন কর্মকর্তা এসে তাঁদের আশ্বস্ত করেন। তবে শ্রমিকেরা এ সময় তাঁদের ওপর চড়াও হন। এরপর রাতে কারখানার মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে মালিকপক্ষ। নোটিশে ওই ব্যবস্থাপকের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শ্রমিক কর্তৃক কারখানায় অবৈধভাবে কাজ বন্ধ রাখা এবং অন্যায় দাবিদাওয়া উত্থাপন করার কারণে ইপিজেড শ্রম আইন ২০১৯ ধারা ১২(১) অনুযায়ী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত কারখানার সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

সকালে সরেজমিন দেখা যায়, কারখানার সামনে অন্তত চার শ শ্রমিক দুই পক্ষে ভাগ হয়ে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। তাঁদের হাতে ইটপাটকেল ও লাঠিসোঁটা ছিল। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ছোড়া শুরু হয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সুলাইমান মুঠোফোনে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আমাদের টিম রয়েছে। সমাধানের চেষ্টা চলছে।’

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন