রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী সিল্কসিটি ট্রেনের ৩৩৯ আসনই ছিল ফাঁকা
প্রতিনিধি রাজশাহী
![]() |
| রাজশাহী ও ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী সিল্কসিটি আন্তনগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজশাহী থেকে ছাড়ার সময় ‘গ’ বগির আসনগুলোয় এ রকমই ফাঁকা ছিল। আজ বুধবার সকালে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রানিং স্টাফদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের পর রাজশাহী থেকে সব রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। তবে আজ বুধবার সকালে ঢাকাগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি পুরো যাত্রী পায়নি। অনেক সিট খালি নিয়েই রাজশাহী স্টেশন ত্যাগ করেছে ট্রেনটি।
এদিকে আগের দিন রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে ভাঙচুরের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী-ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী সিল্কসিটি আন্তনগর এক্সপ্রেস ট্রেনের আসনসংখ্যা ৯৯৮। এর মধ্যে যাত্রী পাওয়া গেছে ৬৫৯ জন। রাজশাহী থেকে ফাঁকা গেছে ৩৩৯টি আসন। ট্রেনটি সকালে নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট পরে রাজশাহী থেকে ছেড়ে গেছে।
এই ট্রেনের কোনো কোনো বগিতে দেখা গেছে দু–একজন যাত্রী আছেন। ‘গ’ নম্বর বগিতে দেখা যায় সামনে শুধু দুজন যাত্রী বসে আছেন, পেছনে প্রায় ফাঁকা। যে কয়েকজন যাত্রী ছিলেন ওই বগিতে, তাঁরা বলছেন, তাঁরা ট্রেনের আশায় আসেননি। তবে স্টেশনে এসে ট্রেন পেয়ে গেছেন।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশনমাস্টার শহিদুল আলম বলেন, রাত সাড়ে তিনটার দিকে রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে তাঁদের জানানো হয়েছে সব ট্রেন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করবে। তারপর তাঁরা স্টেশনে মাইকিং করে যাত্রীদের জানিয়ে দিয়েছেন। আগে টিকিট যাঁদের কাটা ছিল, তাঁদের তো টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি। তাঁদের মধ্যে যাঁরা এসেছেন, তাঁরা গন্তব্যের উদ্দেশে গেছেন।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার সকালে কর্মবিরতি চলাকালে স্টেশনে কর্মচারীদের মারধর এবং ভাঙচুরের অভিযোগে রেল কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করেছে। মামলায় চুয়াডাঙ্গা থেকে সুমন আহমেদ (২৩) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার সুমন স্টেশনে ভাঙচুরের ঘটনার ‘মূল হোতা’ দাবি করে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান বলেন, গতকাল দিবাগত রাতে আরএমপির সাইবার ইউনিটের তথ্যের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় রাজশাহী রেলওয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে।
গ্রেপ্তার সুমন আহমেদ চুয়াডাঙ্গার আলাইপুর এলাকার আবদুল কুদ্দুসের ছেলে। তাঁকে রাজশাহীতে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রাজশাহী রেলওয়ে থানার ওসি ফয়সাল বিন আহসান জানান, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় স্টেশন মাস্টার শহিদুল আলম বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এই মামলায় সুমনকে আদালতে তোলা হবে।

Comments
Comments