[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

খুলনায় দ্বিতীয় দিনের মতো শ্রমিকদের কর্মবিরতি, ১৫ জেলায় তেল সরবরাহ বন্ধ

প্রকাশঃ
অ+ অ-

প্রতিনিধি খুলনা

বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলী আজিমকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে খুলনার ট্যাংকলরি শ্রমিকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এ সময় ট্যাংকলরিগুলোকে সড়কের পাশে লাইন করে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের এক শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও জামিনের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন শ্রমিকেরা। এতে খুলনার তিনটি ডিপো থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ আছে এবং খুলনা ও ফরিদপুর অঞ্চলের ১৫ জেলায় তেলের সরবরাহ বন্ধ আছে। তবে গতকাল রোববারের মতো আজ সোমবার সড়ক অবরোধ না করায় যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।

গতকাল দুপুরে খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলী আজিমকে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করে খালিশপুর থানায় হস্তান্তর করে। গত বছরের ২১ আগস্ট খুলনা নগরের খালিশপুর থানার ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা একটি মামলার আসামি তিনি। আজিমকে গ্রেপ্তারের পর কর্মবিরতি পালন করেন তিনটি ডিপোর শ্রমিকেরা। এর ফলে জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায় এবং খুলনা ও ফরিদপুর অঞ্চলের ১৫ জেলায় তেলের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

গতকালের পর আজ সকাল থেকে খালিশপুরে অবস্থিত শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে খুলনার তিনটি ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ রেখেছেন শ্রমিকেরা। আজ সকালে দেখা যায়, খালিশপুরের পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ডিপোর ফটকের সামনের সড়কে লাইন দিয়ে ট্যাংকলরি রাখা আছে।

তবে কর্মবিরতির প্রভাব এখনো নগরের পেট্রলপাম্পগুলোর ওপর পড়েনি। পাম্পগুলো এখনো সচল আছে।

নতুন রাস্তা এলাকার মেসার্স খুলনা ফিলিং স্টেশনের স্বত্বাধিকারী গোলাম কাদের বলেন, গতকাল সকালেই তেল তোলা ছিল। তিন ধরনের (ডিজেল, পেট্রল ও অকটেন) যে পরিমাণ তেল তোলা আছে, তাতে কোনোটা আরও দুই দিন আবার কোনোটা আরও তিন দিন চলবে। আপাতত সংকট নেই।

পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ট্যাংকলরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মীর মোকসেদ আলী বলেন, আলী আজিমকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে গতকাল থেকে ট্যাংকলরি শ্রমিকেরা তিনটি ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন এবং খুলনা বিভাগের ১০ ও বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচ জেলায় পরিবহন বন্ধ করে দেন। আজও পরিস্থিতি একই রকম রয়েছে। মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় তাঁদের সাধারণ সম্পাদককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। তাঁর জামিন না হলে শ্রমিকেরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করবেন না।

গতকাল শ্রমিকেরা হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন শ্রমিক সমিতির নেতা মীর মোকসেদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের ওপর রোববার রাতে যৌথ বাহিনী হামলা করেছে। রাতে আমরা যখন শ্রমিকদের সড়কের অবরোধ তুলে নেওয়ার কথা বোঝাচ্ছিলাম এবং শ্রমিকেরাও ব্যারিকেড সরিয়ে নিচ্ছিলেন, তখনই আমাদের ওপর হামলা করা হয়। আমিও পিটুনির শিকার হয়েছি। জানি না কার প্ররোচনায় এটা হয়েছে। এ ঘটনায় শ্রমিকেরা ক্ষুব্ধ আছেন। আমরা এটারও বিচার চাই।’

খালিশপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২১ আগস্ট খুলনা নগরের খালিশপুর থানার ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে সাবেক মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, সাবেক সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেনসহ ৭৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই মামলায় বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলী আজিমও একজন আসামি। ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ইলিয়াস শেখ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ওই মামলায় গতকাল আজিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন