বগুড়ায় শ্বশুরবাড়িতে বৃদ্ধের মৃত্যু, স্ত্রীসহ আটক ২

প্রতীকী ছবি

প্রতিনিধি বগুড়া: বগুড়ায় শ্বশুরবাড়িতে ফয়জুল্লাহ আকন্দ (৬০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।  তাঁর গলা ব্লেড দিয়ে সামান্য কাটা ছিল। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আমেনা বেগম (৫০) ও আমেনা বেগমের ভাইয়ের স্ত্রী আনু বেগমকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে সোনাতলা উপজেলার শিহিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত ফয়জুল্লাহ আকন্দ সোনাতলা উপজেলার মধ্য দিঘলকান্দি গ্রামের মৃত সমসের আকন্দের ছেলে। ফয়জুল্লাহ কৃষিকাজ করতেন।

ওসি বাবু কুমার সাহা বলেন, আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, ফয়জুল্লাহ আকন্দের স্ত্রী আমেনা বেগম ছেলের বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া করে কয়েক দিন আগে বাবার বাড়ি শিহিপুর গ্রামে চলে আসেন। শনিবার সন্ধ্যায় ফয়জুল্লাহ আকন্দ স্ত্রীকে বাড়িতে আনার জন্য শিহিপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ি ফেরা নিয়ে ফয়জুল্লাহর সঙ্গে স্ত্রী আমেনা বেগম ও আমেনা বেগমের ভাইয়ের স্ত্রী আনু বেগমের ধস্তাধস্তি হয়। এতে ফয়জুল্লাহ মাটিতে পড়ে মারা যান। এ সময় বাড়িতে পুরুষ মানুষ না থাকায় ভয় পেয়ে যান আমেনা বেগম ও আনু বেগম। তাঁরা দুজন পরামর্শ করে মৃত্যুর ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালানোর জন্য ব্লেড দিয়ে ফয়জুল্লাহের গলায় সামান্য কেটে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ফয়জুল্লাহের লাশ হেফাজতে নেয় এবং আমেনা বেগম ও আনু বেগমকে আটক করে।

ওসি বলেন, ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা দেখে মনে হয়েছে, আমেনা বেগম স্বামীর বাড়ি যেতে না চাইলে তাঁদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। ফয়জুল্লাহের পরিবার জানিয়েছে, তিনি আগে থেকেই হৃদ্‌রোগী ছিলেন। মাটিতে পড়ে মারা যাওয়ার পর ব্লেড দিয়ে গলায় সামান্য কেটে দেওয়া হয়। গলায় যে পরিমাণ কাটা দাগ রয়েছে, তাতে গলা কাটার কারণে মৃত্যু হয়নি। তার পরেও গলায় কাটা দাগ থাকায় নিহতের স্বজনদের কাছ থেকে হত্যা মামলা গ্রহণ করা হবে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।