[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

লাউয়ের বাম্পার ফলন দুর্গাপুরে, মোড়ে মোড়ে পসরা সাজিয়ে চলছে বেচাকেনা

প্রকাশঃ
অ+ অ-

ট্রাকে করে লাউ নেওয়া হচ্ছে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি দুর্গাপুর: রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে লাউয়ের পসরা সাজিয়ে কেনাবেচা হচ্ছে। সেখান থেকে ট্রাকে করে লাউ সারা দেশে সরবরাহ করছেন ব্যবসায়ীরা। লাউ চাষে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে এবার।

দীর্ঘ খরার পর বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরছে লাউচাষিদের মধ্যে। আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করায় এবার পুরো উপজেলায় লাউয়ের বাম্পার ফলন হয়েছে। এদিকে উপজেলার ৮০-৯০টি স্থানে প্রতিদিন লাউ বেচাকেনা হচ্ছে। সরাসরি চাষিদের কাছে থেকে লাউ কিনছেন পাইকারেরা। তবে লাউয়ের বাজারদর একটু কম। তবুও ভালো ফলনে খুশি চাষিরা। এবার অধিক ফলনের আশায় উচ্চ আগাম জাতের লাউয়ের আবাদ করেছিলেন উপজেলার প্রায় চাষি।

সরেজমিন দেখা গেছে, ফসলের মাঠে মাচায় মাচায় শুধু লাউয়ের সমারোহ। রাস্তার মোড়ে ও জমিতে তা বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি লাউ ১২-১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুরুতে এ লাউ ৩০ টাকা পিচ পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন মোড় ও জমি থেকে সরাসরি লাউ কিনছেন। দুপুর নাগাদ কেনা লাউ ট্রাকে তুলে ফেলছেন। এসব লাউ ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, খুলনা, বরিশাল, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে।

দুর্গাপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে এবার ৪৫০ হেক্টর জমিতে লাউ চাষ হয়েছে। যা গতবার ছিল ৩৮০ হেক্টর জমিতে। উপজেলার জয়নগর, কানপাড়া, চুনিয়াপাড়া, কলনটিয়া, বাজুখলসী, পানানগর, শালঘরিয়া ও পৌর এলাকার দেবীপুরে সবচেয়ে বেশি লাউ চাষ হয়েছে। দাম ভালো পাওয়ায় চাষিরা বিভিন্ন মোড়ে ও খেতে তা বিক্রি করছেন। পাইকারেরা এসে লাউ কিনছেন।

পৌর এলাকার দেবীপুর আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘এবার দীর্ঘ খরা হয়েছে। শুরুতে লাউয়ের আবাদের সেচ নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছিল। বৃষ্টির পর কিছুটা স্বস্তি ফিরছে। জমি থেকে সবেমাত্র লাউ বিক্রি শুরু হয়েছে। ১৫ কাঠা জমির মাচায় লাউগাছে প্রচুর চালান এসেছে। প্রথম দিনেই ২০০টি বিক্রি করেছি ১৫ টাকা দরে। দাম এর নিচে নামলে লোকসান হতে পারে।’

হাটকানপাড়া এলাকার আশরাফ আলী বলেন, ‘জমিতেই প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ১৪-১৫ টাকায়। আর বাজারে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। মৌসুমের শুরুতেই এ লাউ ৩০ টাকা পিসও বিক্রি করেছি। দুই বিঘা জমিতে মাচায় লাউ চাষ করেছি। এতে খরচ হয় প্রায় ২৫ হাজার টাকা। ইতিমধ্যেই ৬০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছি। সব মিলিয়ে জমি থেকে ১ লাখ টাকার বেশি লাউ বিক্রি হবে বলে আশা করছি।’

পাইকারি ব্যবসায়ী সুমন আলী বলেন, প্রতিদিন তিনি এক ট্রাক লাউ ঢাকায় পাঠায়। সকাল নাগাদ কৃষকেরা ভ্যানগাড়িতে পসরা সাজিয়ে লাউ বিক্রি করতে আসেন। দামদর হাঁকিয়ে সেই লাউ কিনতে হয়। শুরুর দিকে পিচ প্রতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা হলেও সেই এখন লাউ এখন ১২ থেকে ১৪ টাকার মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে। এখানকার লাউ সুস্বাদু হওয়ায় বাইরের জেলাগুলোতে ভালো চাহিদা রয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুন্তলা ঘোষ বলেন, লাউ চাষ অত্যন্ত লাভজনক। খরচ ও পরিশ্রম অনেকটাই কম। ফলে এবার উপজেলায় সবচেয়ে বেশি লাউ চাষ হয়েছে। এ অঞ্চলের কৃষকেরা আলু, পেঁয়াজ ওঠানো প্রায় জমিতে মাচায় লাউ চাষ করে। প্রতিদিন উপজেলার প্রায় ৮০ থেকে ৯০টি স্থানে কৃষকেরা লাউ বেচাকেনা হচ্ছে। দূর–দূরান্তের পাইকারেরা এসে এসব সুস্বাদু লাউ কৃষকের কাছে থেকে কিনে সারা দেশে সরবরাহ করছেন।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন