ঈশ্বরদীতে শীতেও বিদ্যুৎ বিভ্রাট!
![]() |
| কয়েক দিন ধরে চলছে লোডশেডিং। এ কারণে আবার হারিকেনেই ভরসা করতে হচ্ছে | প্রতীকী ছবি |
প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: পাবনার ঈশ্বরদীতে আকস্মিক বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটছে। যদিও নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি পিএলসি (নেসকো) বলছে, জরুরি মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ ও গাছের ডাল কাটার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হচ্ছে। কারণ যা-ই হোক-বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা।
নেসকো বলছে, শীতে তারা নিয়মিত বিদ্যুৎকেন্দ্র সংরক্ষণ (মেইনটেইনেন্স) করে থাকেন। এজন্য বিভিন্ন ফিডার বন্ধ রাখেন। এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট তারই অংশ।
তবে যে কারণেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট হোক, ভোগান্তি তো থাকছেই। শীতে তাপের তীব্রতা না থাকলেও পানির সংকট সৃষ্টিসহ অন্ধকারে সময় পার করতে হয়েছে গ্রাহকদের। লোডশেডিংয়ে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষজন।
সোমবার ও মঙ্গলবার শৈলপাড়া, রহিমপুর, স্কুলপাড়া, পশ্চিমটেংরী, পিয়ারখালি, ফতেমোহম্মদপুর, মশুড়িয়া পাড়া, পাতিলাখালি, অরণকোলা, উমিরপুর, মধ্যঅরণকোলা, পূর্বটেংরী, ভেলুপাড়া, ইস্তা ও শেরশাহ রোড কিছু অংশে লোডশেডিংয়ের খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে নেসকোর ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, সোমবার ও মঙ্গলবার ঈশ্বরদীতে সম্ভাব্য বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৫০ থেকে ৫৫ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে উৎপাদন করা হয়েছে ৫২ মেগাওয়াট। এ হিসেবে লোডশেডিং ধরা হয়েছে ৩ মেগাওয়াট।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নেসকো ঈশ্বরদী অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুন নূর বলেন, এমনিতেই শীতের কারণে ঈশ্বরদীতে বিদ্যুতের চাহিদা কম। চাহিদা অনুযায়ী পাওয়া যাচ্ছে বিদ্যুত, তবে জরুরি মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ ও গাছের ডাল কাটার কারণসহ ফ্রিকুয়েন্সি স্ক্যাডার ঢাকা থেকে নিয়ন্ত্রণ করার কারণে বিদ্যুৎ বিচ্যুতি ঘটেছে।

Comments
Comments