জাতিসংঘের এসডিজি ডিজিটাল গেম চেঞ্জার পুরস্কার পেল এটুআইয়ের একশপ

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) ও আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ) যৌথভাবে এ বছর এই পুরস্কার চালু করেছে | ছবি: এটুআইয়ের সৌজন্যে

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারের অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রকল্পের ই–কমার্স প্ল্যাটফর্ম একশপ জাতিসংঘের ‘এসডিজি ডিজিটাল গেম চেঞ্জার অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে। দেশের প্রান্তিক অঞ্চলে ই-কমার্স সেবা পৌঁছে দিয়ে গ্রাম ও শহরের দূরত্ব কমিয়ে আনার স্বীকৃতিস্বরূপ তারা এ পুরস্কার অর্জন করেছে।

আজ রোববার এটুআইয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতিসংঘের দুই সংস্থা জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) ও আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ) যৌথভাবে ‘গেম চেঞ্জার ফর প্রসপারিটি’ ক্যাটাগরিতে এটুআইয়ের উদ্যোগ একশপকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পুরস্কার প্রদান করে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে গতকাল শনিবার এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এটুআইয়ের পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী, এটুআইয়ের হেড অব কমার্শিয়াল স্ট্র্যাটেজি রেজওয়ানুল হক ও এটুআইয়ের প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট (আউটরিচ অ্যান্ড রিসোর্স মোবিলাইজেশন) মো. শাহরিয়ার হাসান অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন।

এটুআই জানিয়েছে, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণের সফলতার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রথমবার এই পুরস্কার দিয়েছে জাতিসংঘ। ইউএনডিপি ও আইটিইউ যৌথভাবে এ বছর পুরস্কারটি চালু করে। সারা বিশ্বের ৯০ দেশের ৪৫০টির বেশি ডিজিটাল উদ্যোগ থেকে ‘গেম চেঞ্জার ফর প্রসপারিটি’ ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয় একশপ প্ল্যাটফর্ম। এবার প্রসপারিটিসহ পিপল, প্ল্যানেট, পিস ও পাইওনিয়ার—এই পাঁচ ক্যাটাগরিতে পাঁচটি ডিজিটাল উদ্যোগকে পুরস্কৃত করা হয়।

একশপ প্রসঙ্গে এটুআই জানিয়েছে, এটি দেশের সব বড় বড় ই-কমার্স কোম্পানি এবং হাজারও ছোট, মাঝারি উদ্যোক্তাকে নিয়ে তৈরি একটি সরকারি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম। এতে করে গ্রামের জনগণ প্রযুক্তি সহায়তায় খুব সহজেই ডিজিটাল মার্কেটে যুক্ত হতে পারছে। গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে গ্রামীণ পর্যায়ের বাণিজ্যকে ই-কমার্সে অন্তর্ভুক্ত করার মধ্য দিয়ে গ্রাম ও শহরের যে ডিজিটাল বৈষম্য, তা কমাতে ভূমিকা পালন করছে একশপ।

বর্তমানে ১২ হাজারের বেশি গ্রামীণ কারিগর একশপের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করছে। ইতিমধ্যে একশপ ৮০ লাখের বেশি পণ্য ক্যাশ অন ডেলিভারির মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে। একশপ মডেলটি ফিলিপাইনের একটি প্রদেশে চালু হয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণ সুদান, ইয়েমেন, তুরস্ক ও সোমালিয়াতে ডিজিটাল বৈষম্য কমাতে একশপের মডেল রেপ্লিকা করা হচ্ছে। দেশের বাইরে এই মডেল চালু করতে জাতিসংঘ সহায়তা করছে।