[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

মোখার গতি বেড়েছে, মধ্যরাতেই উপকূলে প্রভাব পড়তে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রকাশঃ
অ+ অ-

টেকনাফের শাহ পরীর দ্বীপ উত্তর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশ্রয় কেন্দ্রে সাধারণ মানুষরা আসছে। ১৩ মে, ২০২৩ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

নিজস্ব প্রতিবেদক: অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার এখন আরও বেশি গতিতে উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। এখন এ ঝড় ঘণ্টায় প্রায় ২০ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে আসছে। আর গতি বেড়ে যাওয়ার কারণে আজ মধ্যরাতেই চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় এর অগ্রভাগের প্রভাব শুরু  হতে পারে। আজ শনিবার রাত নয়টায় দেওয়া ১৬ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় থাকা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-উত্তরপূর দিকে অগ্রসর ও আরও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায়। এটি আজ শনিবার সন্ধ্যা ছয়টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।  ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে কাল রোববার সকাল নয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। আজ  মধ্যরাত নাগাদ চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে।

সংস্থার পরিচালক আজিজুর রহমান আজ বলেন, ‘মোখার গতি গতকাল পর্যন্ত আট কিলোমিটারের মতো ছিল। কিন্তু আজ থেকে এর গতি বেড়ে গেছে। এখন এটি প্রায় ২০ কিলোমিটার গতিতে এগোচ্ছে। তাই আজ মধ্যরাতে এর অগ্রভাগের প্রভাব আমাদের উপকূলে শুরু হতে পারে।’

আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,  ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত  দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে আট নম্বর মহা বিপৎসংকেত আট  নম্বর মহা বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আর মোংলা সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার এবং তাদের কাছাকাছি দ্বীপ ও চরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চরগুলো আট নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের কাছাকাছি দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে আট থেকে ১২ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। এর প্রভাবে ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের কাছাকাছি দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পাঁচ থেকে সাত ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটার) বৃষ্টি হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমি ধস হতে পারে।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন