[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

প্রয়াত রানির প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শেষশ্রদ্ধা, শোক বইয়ে স্বাক্ষর

প্রকাশঃ
অ+ অ-

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়েস্টমিনস্টার হলে সংরক্ষিত রানির মরদেহে শ্রদ্ধা জানান এবং ল্যাঙ্কাস্টার হাউসে একটি শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন | ছবি: বাসস

বাসস, লন্ডন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে শেষশ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি ওয়েস্টমিনস্টার হলে সংরক্ষিত রানির মরদেহে শ্রদ্ধা জানান এবং ল্যাঙ্কাস্টার হাউসে একটি শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন। ১৫ সেপ্টেম্বর রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে যোগ দিতে যুক্তরাজ্যের (ইউকে) সরকারি সফরে লন্ডনে পৌঁছান শেখ হাসিনা।

যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, সকালে প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত রানির প্রতি শেষশ্রদ্ধা জানাতে তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে ওয়েস্টমিনস্টার প্যালেসে যান। শেখ হাসিনা ওয়েস্টমিনস্টার প্যালেসের হলে শবাধারে সংরক্ষিত প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতি তাঁর শেষশ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

এর আগে ওয়েস্টমিনস্টারে পৌঁছালে ব্রিটিশ স্পিকারের প্রতিনিধি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর ছোট বোনকে স্বাগত জানান। পরে তাঁদের ল্যাঙ্কাস্টার হাউসে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে শোক বই খোলা হয়েছে। সেখানে বাংলায় শোকবার্তা লেখেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘আমি বাংলাদেশের জনগণ, আমার পরিবার এবং আমার ছোট বোন শেখ রেহানার পক্ষ থেকে গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’ এরপর প্রধানমন্ত্রীকে অন্য একটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তিনি টেলিভিশনের সামনে রানির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

ল্যাঙ্কাস্টার হাউসে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভিকি ফোর্ড তাঁকে স্বাগত জানান। সেখানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করেন যে তিনি প্রয়াত রানির সঙ্গে আট বা নয়বার দেখা করেছিলেন এবং রানি তাঁকে তাঁর স্বনামেই চিনতেন। তিনি যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে বলেন, ‘তিনি আমার কাছে একজন মাতৃতুল্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন, আমি আমার মায়ের মতো একজনকে হারিয়েছি। মনে হচ্ছে, একজন অভিভাবক চলে গেলেন।’

সৈয়দা মুনা তাসনিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা দুজনেই ১৯৬১ সালে রানিকে দেখেছিলেন, যখন তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে বাংলাদেশ) সফর করেছিলেন।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, প্রয়াত রানি ছিলেন একজন বিশ্ব অভিভাবকের মতো এবং তাঁর মৃত্যুতে এক শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ হাইকমিশনার বলেন, শোক বইয়ে শেখ রেহানা, যিনি নিজেও একজন ব্রিটিশ নাগরিক, লিখেছেন, ‘তিনি আমাদের হৃদয়ের রানি এবং সব সময় থাকবেন।’

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন