রায়পুরার চরাঞ্চলে জুয়েলারি ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা
| গুলি | প্রতীকী ছবি |
নরসিংদীর রায়পুরার চরাঞ্চলে এক জুয়েলারি ব্যবসায়ীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের দিঘলিয়াকান্দি গ্রামে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত ব্যবসায়ীর নাম প্রাণতোষ কর্মকার, বয়স ৪২ বছর। তিনি রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের দিঘলিয়াকান্দি গ্রামের সাধন সরকারের ছেলে। স্থানীয় বাজারে তাঁর একটি জুয়েলারি দোকান ছিল।
বাঁশগাড়ী তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক মাসুদ আলম জানান, প্রাণতোষকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বুকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা জানান, রাত আটটার দিকে অপরিচিত দুজন লেনদেনের কথা বলে প্রাণতোষকে বাড়ি থেকে বের করে নেয়। পরে তাঁকে দিঘলিয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নিয়ে বুকে গুলি করে পালিয়ে যায় তারা।
গুলির শব্দ শুনে স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা বেরিয়ে আসেন। তাঁরা মাঠে প্রাণতোষকে কাতরাতে দেখেন। দ্রুত উদ্ধার করে তাঁকে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক পরামর্শ দেন, তাঁকে নরসিংদীতে পাঠানো হোক। পরে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আসাদ আবদুল্লাহ খান বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে তাঁকে। বুলেট ইনজুরি সম্পর্কে তাঁর স্বজনরা বলেছেন। বুকের পাশে থাকা ছিদ্রটি গুলির কি না, তা ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে।’
নিহত প্রাণতোষের বউদি হেনা কর্মকার বলেন, সন্ধ্যায় দুই অপরিচিত ব্যক্তি যখন প্রাণতোষকে বাড়ির বাইরে যেতে বলছিল, তখনই সন্দেহ হয়েছিল। তাঁকে বাড়ির ভেতরেই কথা বলার জন্য বলা হয়েছিল, কিন্তু তারা কৌশলে বাড়ির বাইরে বের করে নিয়ে যায়।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সুজন চন্দ্র সরকার বলেন, কারা ও কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশি তদন্ত চলছে। জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন