[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশি শিক্ষক-সাংবাদিকদের শাস্তি দাবি

প্রকাশঃ
অ+ অ-
কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ভবনে আগুন লাগিয়ে দেয় সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার রাত দেড়টায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

যুক্তরাষ্ট্রে থাকা যোগাযোগ ও সাংবাদিকতার শিক্ষক এবং গবেষকদের সংগঠন বাংলাদেশি কমিউনিকেশন স্কলার্স ইন নর্থ আমেরিকা (বিসিএসএনএ) প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান কার্যালয়ে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছে।

গতকাল শুক্রবার প্রকাশিত লিখিত প্রতিবাদে বিসিএসএনএ এই সন্ত্রাসী হামলাকে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর গুরুতর আঘাত হিসেবে উল্লেখ করে। তারা ঘটনার স্বাধীন তদন্তের দাবি জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বার্ড কলেজের যোগাযোগ বিভাগে কর্মরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ফাহমিদুল হক বলেন, ‘বাংলা সংবাদপত্রের ইতিহাসে ১৮ ডিসেম্বর একটি কাল রাত। এই হামলা বাংলাদেশের মানুষের মত প্রকাশের অধিকার ও গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ।’

বিসিএসএনএ-এর এক লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শত শত লোকের একটি দল কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে হামলা চালায়। তারা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে এবং সাংবাদিক-কর্মীদের ভয়ভীতি দেখায়। এরপর তারা দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়েও একই ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এতে রাতের শিফটের কর্মীরা ছাদে আটকা পড়েন এবং জীবনের ঝুঁকিতে পড়েন। হামলার কারণে উভয় পত্রিকা শুক্রবারের প্রকাশনা বাতিল করতে বাধ্য হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে থাকা ৩০ জন গণযোগাযোগ-বিষয়ক বাংলাদেশি শিক্ষক ও গবেষক স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলেন, এসব হামলা বিচ্ছিন্ন নয়, বরং সমন্বিত আক্রমণ, যার লক্ষ্য ভয় ও ধ্বংসের মাধ্যমে স্বাধীন সাংবাদিকতাকে স্তব্ধ করা। প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার দীর্ঘদিন ধরে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা ও সম্পাদকীয় স্বাধীনতায় অবদান রেখে আসছে। এই হামলা নাগরিকদের জানার অধিকারের ওপর আঘাত।

সংগঠনের সদস্যরা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়মতো সুরক্ষা প্রদানে ব্যর্থতা ও জরুরি সেবায় বাধা দেওয়ার কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা উল্লেখ করেন, সরকারের নিজস্ব মিডিয়া রিফর্ম কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় সরকারের সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান তারা।

লিখিত বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন—বার্ড কলেজের ড. ফাহমিদুল হক, ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের ড. আনিস রহমান, ইস্টার্ন নিউ মেক্সিকো ইউনিভার্সিটির ড. মো. খাদিমুল ইসলাম প্রমুখ।

এ ছাড়া আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবও ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। সংগঠনটি মনে করে, পরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ওপর এই ন্যক্কারজনক হামলা চালানো হয়েছে। বিশেষ করে ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবিরের ওপর হামলা একটি সুপরিকল্পিত এজেন্ডার অংশ।

প্রতিবাদপত্রে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া এবং গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়েছে।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন