ধানমন্ডিতে বাবার বাড়িতে জুবাইদা রহমান
![]() |
| রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখে ফিরছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে দেখার পর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান ধানমন্ডির পৈতৃক বাসভবনে পৌঁছেছেন। আড়াই ঘণ্টার বেশি সময় তিনি এভারকেয়ারে ছিলেন। পরে বেলা আড়াইটার দিকে হাসপাতাল ত্যাগ করেন জুবাইদা রহমান।
জুবাইদা রহমান লন্ডন থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে আজ বেলা পৌনে ১১টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। শাশুড়িকে দেখতে সেখান থেকে তিনি সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। বেলা ১১টা ৫৩ মিনিটে জুবাইদা রহমান হাসপাতালটিতে পৌঁছান। তাঁর আগমনকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়ার জন্য জুবাইদা রহমান ঢাকায় এসেছেন। তবে কাতারের আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কারিগরি ত্রুটির কারণে আজ আসেনি। তাই খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়ার প্রক্রিয়া কিছুটা পিছিয়েছে। আজ সকাল ১০টায় বিএনপির মিডিয়া সেল ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানায়। শারীরিক অবস্থা ঠিক থাকলে ও মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত দিলে খালেদা জিয়া আগামী রোববার লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের ফেসবুকে জানানো হয়, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আজ আসছে না। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে আগামীকাল শনিবার পৌঁছাবে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা যদি যাত্রার জন্য উপযুক্ত থাকে এবং মেডিকেল বোর্ড অনুমোদন দেয়, ইনশা আল্লাহ ৭ তারিখ (রোববার) তিনি লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন।’
১৩ দিন ধরে খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর সংকটাপন্ন শারীরিক অবস্থাকে কেন্দ্র করে দেশের মানুষ উদ্বিগ্ন। খালেদা জিয়ার ফুসফুসে সংক্রমণের কারণে যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল, তা কিছুটা উন্নতির দিকে। হৃদ্যন্ত্রের সমস্যাও কিছুটা কমেছে। তবে অন্য স্বাস্থ্যগত সমস্যা অনেকটাই অপরিবর্তিত।
গত ২৩ নভেম্বর রাতে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা শেষে ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ে। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মধ্যবর্তী নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট (এইচডিইউ) থেকে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়।

Comments
Comments