পাকিস্তানপন্থী বুদ্ধিজীবীদের পাকিস্তানি বাহিনী কেন হত্যা করবে: চট্টগ্রাম জামায়াত আমির
![]() |
| শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য দেন জামায়াতের চট্টগ্রাম নগরের আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। বিকেলে নগরের দেওয়ান বাজারে দলীয় কার্যালয়ে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে অনেকেই পাকিস্তান রাষ্ট্রের পক্ষে ছিলেন বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম নগরের আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘পাকিস্তানপন্থী বুদ্ধিজীবীদের পাকিস্তানি বাহিনী কেন হত্যা করবে? এটি একটি অমীমাংসিত ঐতিহাসিক প্রশ্ন, যা যুগ যুগ ধরে ঘুরপাক খাচ্ছে।’
আজ রোববার বিকেলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে নগরের দেওয়ান বাজারে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় নজরুল ইসলাম এই মন্তব্য করেন। সভায় তিনি তদন্ত কমিশন গঠন করে সঠিকভাবে তদন্ত চালিয়ে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করা এবং বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার দাবি জানান। নগর জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতেও এই বক্তব্য তুলে ধরা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে নগর আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘নিউইয়র্কের একটি সংস্থা আত্মগোপনে থাকা শিক্ষকদের হত্যা করা হয়েছে এমন একটি বিবৃতির প্রতিবাদে ১৯৭১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশের কয়েকজন বুদ্ধিজীবী তৎকালীন রাষ্ট্রের অখণ্ডতার পক্ষে বিবৃতি দিয়েছিলেন। ঢাকাকেন্দ্রিক ৫৫ জন এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৩ জন শিক্ষক ছিলেন ওই তালিকায়। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে অনেকেই সেখানে ছিলেন।’
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার বুদ্ধিজীবীরা পাকিস্তানপন্থী ছিলেন। তাঁরা কেউ ভারতে যাননি। জহির রায়হানের মতো অনেকে ছিলেন চীনপন্থী কমিউনিস্ট। পাকিস্তানি সৈন্যরা তাদের জীবনের সংকটকালে তাদের প্রতি অনুগত বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করতে যাবে কেন? সামরিক বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিরাই বিশ্বাস করেন যে, পাকিস্তানি সৈন্যদের নাম ব্যবহার করে অন্য কেউ তাদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সন্দেহভাজন হিসেবে ভারতের নাম প্রথমে উচ্চারিত হয়। ভারতের দিকে না যাওয়ায় তারা ভারতের রোষানলে পড়েছিলেন।’
বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডকে মানবতাবিরোধী অপরাধ উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘কারা এই জঘন্য হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল, প্রকৃত হত্যাকারী কারা ছিলেন, তা আজও রহস্যময়। দেড় যুগের ফ্যাসিবাদী শাসনে ভুয়া বয়ানের ভিত্তিতে মিথ্যা মামলা করে, প্রচলিত সাক্ষ্য আইন উপেক্ষা করে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিচারিক হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে জাতীয় নেতাদের দুনিয়া থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন নগরের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহর পরিচালনায় অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি খাইরুল বাশার, সাংগঠনিক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, ডবলমুরিং থানার আমির ফারুকে আজম, চকবাজার থানার আমির আহমদ খালেদুল আনোয়ার, কোতোয়ালি থানার নায়েবে আমির আব্দুজ্জাহের, নগর কর্মপরিষদ সদস্য হামেদ হাসান ইলাহী, মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ প্রমুখ।

Comments
Comments