৪৫ ফুটের নিচে ক্যামেরা যেতে পারছে না, শিশু সাজিদের খোঁজ এখনো নেই
![]() |
| রাজশাহীর তানোরে গর্তে পড়ে যাওয়া শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযান চলছে। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রাজশাহীর তানোরে গর্তে পড়ে যাওয়া শিশুটি ২৪ ঘণ্টা পার হলেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে সাজিদ নামের দুই বছরের একটি শিশু গভীর গর্তে পড়ে যায়। বিকেল থেকে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকাজ শুরু করে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, মূল গর্তের পাশ থেকে কেটে শিশুটিকে উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। ৪৫ ফুট গভীরে যাওয়ার পরও শিশুকে পাওয়া যায়নি। আজ বেলা আড়াইটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চলছিল। নিখোঁজ শিশুটি উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের মো. রাকিবের ছেলে।
উদ্ধার কার্যক্রম আজ পরিদর্শন করতে গেছেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেনটেনেন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি ঢাকা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘শিশুটিকে না পাওয়া পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস কাজ চালাবে। প্রয়োজন হলে ১০০ ফুট পর্যন্ত খনন করতে হবে। এটি ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।’
ফায়ার সার্ভিসের একটি সূত্র জানায়, তারা গর্তে সার্চ ভিশন ক্যামেরা নামিয়ে পরীক্ষা করেছেন। তবে ৪৫ ফুটের পর ক্যামেরা প্রবেশ করতে পারছে না। এই পর্যায়ে কী করা যাবে তা নিয়ে শিশুটির পরিবার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা আলোচনা করবেন।
স্থানীয়রা জানান, রাজশাহীর তানোর উপজেলার পচন্দর ইউনিয়নের এই গ্রামে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। এ এলাকায় এখন গভীর নলকূপ বসানো নিষিদ্ধ। এই অবস্থায় কোয়েলহাট গ্রামের কছির উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি তাঁর জমিতে পানির স্তর পরীক্ষা করার জন্য গর্ত খনন করেছিলেন। গর্তটি ভরাট করা হয়েছিল, কিন্তু বর্ষায় মাটি বসে গিয়ে নতুন করে গর্ত তৈরি হয়। সেই গর্তেই শিশুটি পড়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটায় এক্সকাভেটর দিয়ে খনন শুরু হয়। পাশের চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কাজ করে। সঙ্গে ছিল পুলিশ ও সেনাবাহিনী। রাত ১০টার দিকে ছোট এক্সকাভেটর দিয়ে খনন সম্ভব হয়নি। রাজশাহী সিটি করপোরেশন থেকে পাঠানো বড় এক্সকাভেটর দিয়ে আজ সকাল আটটার দিকে প্রায় ৩৫ ফুট গভীরে গিয়ে মূল গর্তের পাশ কেটে শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটি আরও গভীরে চলে গেছে।

Comments
Comments