[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

কিশোরগঞ্জ-১: বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন বাতিল চেয়ে ৪ নেতা দাবি

প্রকাশঃ
অ+ অ-
কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে বিএনপির ঘোষিত প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন। বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে কিশোরগঞ্জ শহরের স্টেশন রোড এলাকা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মনোনয়ন না পাওয়া চার নেতা। তাঁরা দলীয় প্রার্থী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিল করে নতুন প্রার্থী ঘোষণার দাবি জানান।

বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে কিশোরগঞ্জ শহরের স্টেশন রোডে জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি রেজাউল করিম খানের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। এতে রেজাউল করিম খানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ হিলালী, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি রুহুল হোসাইন এবং সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রেজাউল করিম খান। তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ আসনে যাঁকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তাতে আসনটি ঝুঁকির মুখে পড়েছে। দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর ধরে আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে থাকা এবং মামলা ও নির্যাতনের শিকার নেতাদের মূল্যায়ন না করে আন্দোলনের বাইরে থাকা একজনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

বক্তারা বলেন, যাঁরা বছরের পর বছর পরিবার-পরিজন ছেড়ে দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাঁদের বাদ দিয়েই প্রার্থী নির্বাচন করা হয়েছে। দ্রুত মনোনয়ন পরিবর্তন না করা হলে তাঁরা আরও কঠোর ও লাগাতার আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন।

মনোনয়নবঞ্চিত এই নেতারা কয়েক দিন ধরে মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ সভা, সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন, সড়ক অবরোধ ও মশাল মিছিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন।

উল্লেখ্য, গত ৪ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় সারা দেশের ৩৬টি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বিএনপি। সেদিন কিশোরগঞ্জ-১ আসনে মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলামের নাম ঘোষণা করা হয়। মনোনয়ন ঘোষণার পর তিনি অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বাড়িতে গিয়ে সহযোগিতা চাইলেও তাঁর মনোনয়নের বিরোধিতা করে চার নেতা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে যাচাই-বাছাই করেই তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আসনের দুই উপজেলার নেতা-কর্মীদের বড় একটি অংশ তাঁর সঙ্গে রয়েছে। মনোনয়ন না পাওয়া কয়েকজন নেতা দলের নির্দেশনা অমান্য করে কর্মসূচি দিয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছেন। কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন পরিবর্তন হলে তিনি তা মেনে নেবেন। তবে এভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা ঠিক নয়।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন