[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

বালু উত্তোলন বন্ধে সীতাকুণ্ডে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

প্রকাশঃ
অ+ অ-
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদ এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এলাকাবাসীর মিছিল। আজ দুপুরে তোলা | ছবি: স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগরের সন্দ্বীপ চ্যানেল থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের আলেকদিয়া এলাকার বাসিন্দারা। একই সঙ্গে সম্প্রতি কুমিরা উপকূলে একটি বাল্কহেড পোড়ানোর ঘটনায় দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার এবং টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিও তুলেছেন তারা।

আজ রোববার দুপুরে উপজেলা পরিষদ এলাকা সংলগ্ন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে আলেকদিয়া গ্রামের দুই শতাধিক মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধন শেষে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফখরুল ইসলামকে বিষয়টি স্মারকলিপি দিয়ে জানান।

নৌ পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৫ ডিসেম্বর আলেকদিয়া গ্রামের সাগর উপকূলে একটি ড্রেজার ও বাল্কহেড আনা হয়। এ সময় ড্রেজারটি দিয়ে বালু তোলার প্রস্তুতি চলছে—এমন খবর এলাকাবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই ড্রেজার ও বাল্কহেডে আগুন দেন। পরদিন ১০ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৫০ জনকে আসামি করে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা করা হয়। মামলার পর পুলিশ আলেকদিয়া থেকে এক বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর থেকে গ্রেপ্তার আতঙ্কে রয়েছেন এলাকায় কেউ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন স্থানে সন্দ্বীপ চ্যানেল থেকে বালু তোলা হচ্ছে। এতে এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে এবং মানুষের বসতবাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে। টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায় এভাবে বালু তোলা অব্যাহত থাকলে বাসিন্দারা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বাল্কহেড পোড়ানোর মামলার প্রসঙ্গ তুলে বক্তারা বলেন, ‘মামলার পর পুরুষেরা রাতে ঘরে থাকতে পারছেন না। আমরা অবিলম্বে মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানাই।’

জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড থানার ওসি মো. মহিনুল ইসলাম বলেন, মামলাটির এখনো তদন্ত চলছে। মামলার কারণে নিরপরাধ কাউকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা হবে না।

বালু তোলা বন্ধে সীতাকুণ্ডের সাগর উপকূলে গতকাল শনিবার নৌ পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়েছে। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযানে চারটি ড্রেজার ও সাতটি বাল্কহেড আটক করা হয়। পরে এ বিষয়ে মামলা করা হয়।

কুমিরা নৌ পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ ওয়ালি উদ্দিন আকবর বলেন, উপকূলীয় এলাকায় অবৈধ ও অনুমোদনহীন বাল্কহেড ও ড্রেজারের বিরুদ্ধে নৌ পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ অভিযান চলতে থাকবে।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন