[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

বিজয় দিবসে গান-স্লোগানে উদীচীসহ তিন সংগঠনের পতাকা মিছিল

প্রকাশঃ
অ+ অ-
‘কণ্ঠে ধরো বিজয়ের গান, হাতে নাও মুক্তির পতাকা’ স্লোগানে মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ) ও বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

‘কণ্ঠে ধরো বিজয়ের গান, হাতে নাও মুক্তির পতাকা’ স্লোগানে মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ) ও বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন। মঙ্গলবার বিকেলে তিনটি সংগঠনের মিলিত আয়োজনের মধ্য দিয়ে রাজধানীতে একটি পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন গেট থেকে শুরু হওয়া মিছিলের শুরুতেই বেজে ওঠে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ‘ধনধান্য পুষ্প ভরা’ গান। এরপর ‘মুক্তির মন্দির সোপানতলে’, ‘মা গো ভাবনা কেন’, ‘গেরিলা আমরা, আমরা গেরিলা’সহ নানা গণসংগীত ও দেশাত্মবোধক গান গাইতে গাইতে মিছিল শাহবাগ ও টিএসসি হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৌঁছায়। এতে কয়েকশ মানুষ অংশ নেন।

মিছিল শেষে শহীদ মিনারের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদ সেলিম বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও আজ জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি বলেন, একটি পক্ষ এই গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

মাহমুদ সেলিম আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভূলিয়ে দিয়ে তারা দেশের তেল, গ্যাস, বন্দর ও কলকারখানা লুটের পরিকল্পনায় মেতে আছে। তবে আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষ এই ষড়যন্ত্র রুখে দেবে।

গণসংগীত ও দেশাত্মবোধক গান গাইতে গাইতে মিছিলটি শাহবাগ ও টিএসসি হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৌঁছায়। এতে কয়েক শ মানুষ অংশ নেন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিজয়ের ৫৪ বছর পর আজ আমাদের মধ্যে ভয় কাজ করছে। আমাদের বিজয়ের ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা চলছে। আমরা মনে করি, বাংলাদেশের মানুষ এই ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করবে।

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি মাহির শারিয়ার রেজা বলেন, যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, আজ আমাদের তাদের আস্ফালন দেখতে হচ্ছে। এখন শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, বুদ্ধিজীবী হত্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা প্রকৃত বিজয় উদ্‌যাপনও করতে পারছি না।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন শুভসহ কেন্দ্রীয় খেলাঘর ও হকার্স ইউনিয়নের নেতারা।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন