[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

প্রার্থনা, শুভেচ্ছা বিনিময় আর মঙ্গল কামনায় বড়দিন পালিত

প্রকাশঃ
অ+ অ-
ছোটদের সঙ্গে খুনসুটিতে মেতেছেন ‘সান্তা ক্লজ’। রাজধানীর তেজগাঁওয়ের জপমালা রানীর গির্জায়। ২৫ ডিসেম্বর | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

রাজধানীর তেজগাঁওয়ের জপমালা রানীর গির্জায় প্রার্থনা ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্য দিয়ে বড়দিন উদ্‌যাপন করছেন খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ। বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে গির্জাটি।

বৃহস্পতিবার সকালে গির্জায় গিয়ে দেখা যায়, প্রবেশমুখে লাল–সাদা পোশাকে সান্তা ক্লজের আদলে সাজসজ্জা করা হয়েছে। পাশেই ‘মেরি ক্রিসমাস’ লেখা নানা সাজ। সেখানে অনেকেই ছবি তুলছেন। গির্জার সামনে শিশু যিশুকে কোলে নেওয়া মা মেরির ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। তার পাশেও বড় করে লেখা ‘মেরি ক্রিসমাস’। গির্জার ভেতরে ও প্রাঙ্গণে তৈরি করা হয়েছে ‘গোশালা’, যেখানে যিশুর জন্ম হয়েছিল বলে বিশ্বাস করা হয়।

শিশু যিশুকে কোলে নিয়ে মা মেরির ভাস্কর্যের সামনে মানুষের ভিড়। রাজধানীর তেজগাঁওয়ের জপমালা রানীর গির্জায়। ২৫ ডিসেম্বর | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

বড়দিন উপলক্ষে গির্জা এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।

গির্জার সহকারী পুরোহিত ফাদার চঞ্চল পেরেরা বলেন, যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিন উপলক্ষে আজ সকাল সাতটায় এই গির্জায় প্রথম দফায় খ্রিষ্টযজ্ঞ বা প্রার্থনার আয়োজন করা হয়, যা প্রায় এক ঘণ্টা চলে। দ্বিতীয় দফায় সকাল নয়টায় খ্রিষ্টযজ্ঞ শুরু হয় এবং সাড়ে দশটা পর্যন্ত চলে। খ্রিষ্টযজ্ঞে যিশুখ্রিষ্টের জন্মকথা স্মরণ, পবিত্র বাইবেল পাঠ, বাণী সহভাগিতা, ধর্মীয় গান এবং সবার মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করা হয়। খ্রিষ্টযজ্ঞ শেষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ একে অপরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

রাজধানীর ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডের বাসিন্দা লিনা গোমেজ মেয়েকে নিয়ে প্রার্থনায় অংশ নেন। প্রার্থনা শেষে গোশালার পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, শিশু যিশুর কাছে তাঁর অনেক চাওয়া আর আশা রয়েছে। সেসব প্রত্যাশা পূরণের জন্যই তিনি প্রার্থনা করেছেন। শুধু নিজের জন্য নয়, সবার জন্য প্রার্থনা করেছেন। বিশেষ করে যাঁদের চাকরি নেই, তাঁরা যেন চাকরি পান, অসুস্থরা যেন সুস্থ হন এবং দুঃখীদের দুঃখ যেন লাঘব হয়।

লিনা আরও বলেন, গির্জা থেকে বাসায় ফিরে বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছে আশীর্বাদ নেবেন, এটাই রেওয়াজ। আজকের দিনে সবার বাসায় বিভিন্ন ধরনের পিঠাপুলির আয়োজন থাকবে। প্রার্থনা আর আনন্দের মধ্য দিয়েই বড়দিন উদ্‌যাপন করা হবে।

বড়দিনের প্রার্থনায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষেরা। রাজধানীর তেজগাঁওয়ের জপমালা রানীর গির্জায়। ২৫ ডিসেম্বর | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

পরিমল গোমেজ স্ত্রী, মেয়ে, ছেলে ও ছেলের স্ত্রীকে নিয়ে জপমালা রানীর গির্জায় প্রার্থনায় অংশ নেন। তিনি বলেন, ‘সবার মনে আনন্দ, কারণ এই শুভ লগ্নে যিশুখ্রিষ্ট পৃথিবীতে এসেছিলেন।’

এই গির্জায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আমরা চাই, সব সম্প্রদায়ের মানুষ যেন নিজেদের ধর্ম ও আচার–অনুষ্ঠান নির্ভয়ে ও আনন্দের সঙ্গে পালন করতে পারেন। এটাই সত্যিকার গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য।’

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন