[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তারেক রহমানকে ‘সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে উল্লেখ

প্রকাশঃ
অ+ অ-
তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের স্কিনশট

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর পর যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছেন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। এরপর ৩০০ ফুটের জুলাই-৩৬ এক্সপ্রেসওয়েতে গণসংবর্ধনায় লাখ লাখ কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তৃতা করেন।

লাখো সমর্থকের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, যেকোনো মূল্যে দেশের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে। তাঁর দেশে ফেরা নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বেশ গুরুত্বের সঙ্গে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রয়টার্স, এএফপি, নিউইয়র্ক টাইমসসহ বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যম। অধিকাংশ গণমাধ্যমে তাঁকে ‘সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গণমাধ্যমে তাঁর দেশে ফেরার খবর নিচে তুলে ধরা হলো।

রয়টার্স
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের শিরোনাম—‘নির্বাচনের আগে নির্বাসন থেকে ফিরলেন বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী’।

খবরে বলা হয়েছে, প্রায় ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর এই প্রত্যাবর্তন সমর্থকদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে, এমন প্রত্যাশা দলটির। আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী পদের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে করা হচ্ছে।

বিমানবন্দর থেকে গণসংবর্ধনাস্থল পর্যন্ত পথে লাখ লাখ সমর্থককে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে দলীয় পতাকা নাড়াতে দেখা যায়। তাঁরা প্ল্যাকার্ড, ব্যানার ও ফুল হাতে নিয়ে তারেক রহমানকে স্বাগত জানিয়ে স্লোগান দেন। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে বিএনপির শীর্ষ নেতারা বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান।

৬০ বছর বয়সী তারেক রহমান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে। খালেদা জিয়া বর্তমানে অসুস্থ। তারেক রহমান ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে বসবাস করছেন। ২০১৮ সাল থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।

তারেক রহমান বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে জুতা খুলে খালি পায়ে দেশের মাটিতে পা রাখেন এবং একমুঠো মাটি হাতে তুলে নেন। এরপর সংবর্ধনাস্থলে যাওয়ার সময় তাঁকে বহনকারী বাসে চালকের আসনের পাশেই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় তিনি হাসিমুখে হাত নেড়ে মানুষের অভিবাদনের জবাব দেন। ভিড়ের মধ্যেও নেতাকে একনজর দেখার জন্য উম্মুখ হয়ে ওঠেন সমর্থকেরা। 

এএফপি
বার্তা সংস্থা এএফপির শিরোনাম—‘সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী তারেক রহমান বাংলাদেশে পৌঁছেছেন’। খবরে বলা হয়েছে, ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর বিপুলসংখ্যক উচ্ছ্বসিত সমর্থকের সংবর্ধনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ফিরেছেন সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা তারেক রহমান।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে এবং বিএনপির উত্তরাধিকারী হিসেবে বিবেচিত তারেক রহমান ঢাকার বিমানবন্দরে অবতরণের পর দলের নেতাদের সঙ্গে হাত মেলান। এ সময় তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে সঙ্গে ছিলেন।

তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই বিএনপির সমর্থকেরা রাজধানী ঢাকায় জড়ো হতে শুরু করেন। তারেক রহমানের ছবিসংবলিত ব্যানার ও ফেস্টুনে সড়কগুলো ভরে ওঠে। এ সময় লাউডস্পিকারে দেশাত্ববোধক গান বাজানো হয়। 

বিবিসি
যুক্তরাজ্যের প্রভাশালী সংবাদমাধ্যম বিবিসির শিরোনাম—‘১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী’। খবরে বলা হয়েছে, ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে এগিয়ে থাকা তারেক রহমান।

তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামী বছর অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় ফিরতে চায় বিএনপি। ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে বসবাস করা তারেক রহমান দেশের নতুন নেতা হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

আল-জাজিরা
আল-জাজিরার শিরোনাম—‘বাংলাদেশের বিরোধীদলীয় নেতা তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর দেশে ফিরেছেন’। খবরে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকা পরিবারের উত্তরাধিকারী এবং দেশের প্রভাবশালী বিরোধী দলের নেতা তারেক রহমান প্রায় ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর দেশে ফিরেছেন।

৬০ বছর বয়সী তারেক রহমান বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী। ২০০৮ সালে দেশ ছাড়ার পর থেকে তিনি লন্ডনে ছিলেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাঁর ওপর নিপীড়ন চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি।

আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদে তারেক রহমানকে শীর্ষ প্রতিযোগী হিসেবে দেখা হচ্ছে। ২০২৪ সালে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুতির পর তিনি দেশে ফেরায় বিএনপিতে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে।

দ্য নিউইয়র্ক টাইমস
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের শিরোনাম—‘১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাবর্তন’। খবরে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে শীর্ষ প্রতিদ্বন্দীদের একজন তারেক রহমান বৃহস্পতিবার ঢাকায় ফিরেছেন। তিনি প্রায় দুই দশক ধরে নির্বাসনে ছিলেন। দেশে তাঁকে একাধিক মামলা মোকাবিলা করতে হয়েছিল। পুরোদমে নির্বাচনী মৌসুম শুরুর প্রাক্কালে তিনি দেশে ফিরলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন হয়ে গেছে। ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একসময় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কয়েক ডজন মামলা করেছিলেন। বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছেন। এখন তিনিই ভারতে নির্বাসনে আছেন। গত বছর তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর তাঁর দল আওয়ামী লীগের কার্যক্রমও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 

দ্য হিন্দু
ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য হিন্দুর শিরোনাম—‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঢাকায় অবতরণ’। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে ঢাকায় ফিরেছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৭ বছর পর এমন এক সময় তারেক রহমান বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন, যখন নতুন ধরনের অশান্তি ও রাজনৈতিক অস্থিরতা দেশকে গ্রাস করেছে। জনপ্রিয় তরুণ নেতা শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ড ঘিরে বাংলাদেশে সহিংস প্রতিবাদের ঘটনা ঘটেছে।

এতে আরও বলা হয়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বিমানবন্দরে তারেক রহমানকে স্বাগত জানান। এ সময় স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমানও তাঁর সঙ্গে ছিলেন। 

ডন
পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডনের শিরোনাম—‘১৭ বছর নির্বাসনের পর নির্বাচনের আগে দেশে ফিরলেন বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী’।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রায় ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর বৃহস্পতিবার ঢাকায় ফিরেছেন। দলটির আশা, তাঁর এই প্রত্যাবর্তন সমর্থকদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে। ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী পদে শীর্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হচ্ছে। 

এনডিটিভি
ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির শিরোনাম—‘খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান বাংলাদেশে ফিরেছেন’। খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান প্রায় ১৭ বছরের নির্বাসনে থাকার পর দেশে ফিরেছেন। ঢাকার বিমানবন্দরে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে স্বাগত জানান বিএনপির হাজার হাজার সমর্থক।

তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে বিএনপির সমর্থক ও দলের নেতা-কর্মীরা বনানী-বিমানবন্দর সড়ক ধরে পায়ে হেঁটে ঢাকার বিমানবন্দরের দিকে যান।

এর আগে লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রার সময় তারেক রহমান, স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে রাজধানীতে ৫০ লাখের বেশি মানুষের অংশগ্রহণে সমাবেশের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। 

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন