[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

সিলেটে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীকে চোর সন্দেহে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতন

প্রকাশঃ
অ+ অ-
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে চোর সন্দেহে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয় এক যুবককে। গতকাল সকালে দক্ষিণ বুড়দেও গ্রামে | ছবি: ভিডিও থেকে সংগৃহীত

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে চোর সন্দেহে এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীকে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন আরফান মিয়া (৪৩)কে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

নির্যাতিত তরুণের নাম জালাল মিয়া (২৭)। তাঁর একটি চোখের দৃষ্টিশক্তি নেই। তিনি একই উপজেলার দক্ষিণ বুড়দেও গ্রামের মৃত আলী আকবরের ছেলে। গ্রেপ্তার আরফানও একই এলাকার বাসিন্দা।

ঘটনার আগে গতকাল সকালেই দক্ষিণ বুড়দেও গ্রামে জালালকে নির্যাতন করা হয়। পরে জালালের মা শিরিয়া বেগম থানায় মামলা করেন। মামলায় আরফান মিয়া, তাঁর ভাই ইউনুছ আলীসহ পরিবারের ৬ সদস্য এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোরে চুরির অভিযোগে কয়েকজন জালালকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যান। এরপর তাঁকে নদীর পাড়ে একটি নৌকায় নিয়ে গিয়ে হাত পিছমোড়া করে বেঁধে মারধর করা হয়। পরে ইউনুছ আলীর বাড়িতে নেওয়া হয় এবং একপর্যায়ে বাড়ির সামনে একটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে জালালের মা শিরিয়া বেগম ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং তাঁকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

জালালকে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতনের একটি ভিডিও এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। ৫৮ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, জালালের দুই হাত রশি দিয়ে বেঁধে গাছের ডালে ঝোলানো হয়েছে। তিনি চিৎকার করতে করতে পা দিয়ে মাটি ছোঁয়ার চেষ্টা করছেন। একপর্যায়ে একাধিক ব্যক্তি লাঠি হাতে মারধর করতে উদ্যত হন, কিন্তু আশপাশের কয়েকজন মারধর না করার অনুরোধ করেন। পরে জালালকে দুই হাত বাঁধা অবস্থায় গাছ থেকে মাটিতে নামানো হয়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রতন শেখ জানান, চুরির অভিযোগে এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীকে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতনের মামলায় প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন