[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

তফসিল ঘোষণা, জাতীয় নির্বাচন ১২ ফেব্রুয়ারি

প্রকাশঃ
অ+ অ-
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বক্তব্য রাখছেন | ছবি: টিভি থেকে নেওয়া

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি। একই দিনে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের গণভোটও হবে। ভোট গ্রহণ সকাল সাড়ে সাতটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত টানা চলবে।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।

এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১২ কোটি ৭৬ লাখের বেশি। প্রবাসী বাংলাদেশিরাও পোস্টাল ব্যালেটে ভোট দিতে পারবেন। এখন পর্যন্ত ৩ লাখের বেশি প্রবাসী ভোটার ভোট দেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। ৮ আগস্ট মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয়। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার ১৬ মাসের মাথায় জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলো।

শুরুতে গত বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল বিএনপিসহ কয়েকটি দল। ৬ জুন জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস জানান, নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে হবে। ১৩ জুন যুক্তরাজ্যের লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ওই বৈঠকে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে দুজন একমত হন।

এরপর সরকার বারবার জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সে লক্ষ্যে প্রস্তুতি এগিয়ে নিয়েছে। ১৩ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা দেন, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের গণভোট ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। আজ সিইসি এই দুটি ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেন।

ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোই কেবল দলীয় প্রতীকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। বর্তমানে ইসিতে ৫৬টি দল নিবন্ধিত আছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ থাকায় আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত রয়েছে। নিবন্ধন স্থগিত থাকা দল নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। অন্য নিবন্ধিত দলগুলো অংশ নিতে পারবে। এছাড়া যোগ্য যে কোনো ব্যক্তি স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারবেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ২১ নভেম্বর এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। আগামী নির্বাচনই হবে এই কমিশনের অধীনে প্রথম নির্বাচন। এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা সময় ব্যবস্থাপনার জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ভোট গ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। সকাল সাড়ে সাতটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলবে। এছাড়া ভোটকেন্দ্রে গোপন কক্ষের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হবে।

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণও চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সরকার জানিয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর সশস্ত্র বাহিনীসহ দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সব বাহিনী নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করবে। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীসহ প্রায় ৯ লাখ সদস্য নিয়োজিত থাকবেন, যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ। সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য রেকর্ডসংখ্যক দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন