[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

সব ঠিক থাকলে খালেদা জিয়াকে মধ্যরাতের পরে অথবা ভোরে লন্ডনে নেওয়া হবে

প্রকাশঃ
অ+ অ-
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া | ছবি: তারেক রহমানের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর অথবা শুক্রবার ভোরে লন্ডনে নেওয়া হবে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে লন্ডনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার আগে এভারকেয়ার হাসপাতালে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান খালেদা জিয়ার চিকিৎসক জাহিদ হোসেন।

খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য কাতার এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সহায়তা দেবে। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালেই কাতারের পক্ষ থেকে বিএনপিকে এ খবর দেওয়া হয়।

গত বারো দিন ধরে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানা গেছে। তাঁকে নিয়ে দেশের মানুষ উদ্বিগ্ন।

এভারকেয়ার হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে।

বিএনপির একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার ফুসফুসের সংক্রমণজনিত জটিলতা কিছুটা উন্নতির দিকে। তবে হৃদযন্ত্রে জটিলতা রয়েছে। অন্যান্য সমস্যাগুলো প্রায় অপরিবর্তিত।

বুধবার রাতে চীন থেকে চারজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঢাকায় আসেন। সেদিন রাতেই তারা খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডে যোগ দেন। এর আগে ওই দিন দুপুরে যুক্তরাজ্য থেকে ঢাকায় আসেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রিচার্ড বেলে। তিনি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যান এবং খালেদা জিয়াকে দেখেন।

এই চিকিৎসকেরা বুধবারই খালেদা জিয়ার সর্বশেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনা করেন।

উন্নত চিকিৎসার জন্য গত জানুয়ারিতে খালেদা জিয়া লন্ডনে গিয়েছিলেন। সেখানে প্রথমে হাসপাতালে, পরে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন। প্রায় চার মাস পর গত ৬ মে তিনি দেশে ফেরেন।

গত ২৩ নভেম্বর রাতে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরীক্ষায় ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তাকে ভর্তি করা হয়। গত রোববার ভোরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে এসডিইউ থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন