[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

ত্রিশালে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, বিএনপি নেতাসহ আটক ২

প্রকাশঃ
অ+ অ-
ময়মনসিংহের ত্রিশালে সংবাদ সংগ্রহের সময় পিটিয়ে পা ভেঙে দেওয়া হয় সাংবাদিক মতিউর রহমানের। পরে তাঁকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। ছবিটি গতকালের | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন চার সাংবাদিক। তাঁদের দাবি, বিএনপির এক নেতার নেতৃত্বে হামলার সময় তাঁদের মুঠোফোন, ক্যামেরা ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ‘চোরের মোড়’–সংলগ্ন এলাকায় ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপির এক নেতাসহ দুজনকে ঘটনাস্থল থেকেই আটক করে পুলিশ। তাঁরা হলেন হরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ছোরহাব উদ্দিন এবং স্থানীয় যুবদল কর্মী হাবিবুর রহমান।

হামলার শিকার চার সাংবাদিক হলেন ত্রিশাল প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক সমকালের উপজেলা প্রতিনিধি মতিউর রহমান, দৈনিক কালবেলার উপজেলা প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল ফাহাদ, দৈনিক সকালের সময়ের উপজেলা প্রতিনিধি এস এম মাসুদ রানা এবং দৈনিক নয়া শতাব্দীর উপজেলা প্রতিনিধি রাকিবুল হাসান। তাঁদের মধ্যে মতিউর রহমান ও এস এম মাসুদ রানাকে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অন্য দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আজ সকালে মতিউর রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ, স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা ও হামলার শিকার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল সকালে চোরের মোড় এলাকায় জমির মালিকানা নিয়ে তিনজনের মধ্যে বিরোধ হয়। খবর পেয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য সেখানে যান চার সাংবাদিক। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার সময় ছোরহাব উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল তাঁদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় পিটিয়ে মতিউর রহমানের বাঁ পা ভেঙে দেওয়া হয়।

আহত অবস্থায় আবদুল্লাহ আল ফাহাদ বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ করছিলাম। সেই সময় ছোরহাবের নেতৃত্বে একদল লোক দা-লাঠিসহ দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। একপর্যায়ে মারধর করে ক্যামেরা ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। পরে সাংবাদিক সহকর্মীরা খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে এসে আমাদের উদ্ধার করেন।’

আবদুল্লাহর দাবি, ‘ওখানে তিনটি বিবাদমান গ্রুপ ছিল। তার মধ্যে এক পক্ষের হয়ে কাজ করছিলেন ইউপি সদস্য ছোরহাব উদ্দিন। সাংবাদিকরা সেখানে যাওয়ায় তাঁর উদ্দেশ্যে বাধা আসতে পারে—এমন ধারণা থেকে আমাদের ওপর হামলা করেছেন।’

এ ঘটনায় মতিউর রহমান গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ত্রিশাল থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ত্রিশাল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ গোলাম মোস্তফা রুবেল বলেন, ‘ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে ছোরহাব ও হাবিবুরকে আটক করা হয়। পরে তাঁদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ রোববার তাঁদের আদালতে সোপর্দ করার কথা রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন