[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

আদালতে পুলিশ কমিশনার ব্যাখ্যা, কেন আসামির বক্তব্য গণমাধ্যমে এসেছে

প্রকাশঃ
অ+ অ-
রাজশাহী মহানগর পুলিশ কার্যালয় | ছবি: আরএমপির ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত

রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের ছেলেকে হত্যা ও তাঁর স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় গ্রেপ্তার লিমন মিয়া (৩৪) পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় কীভাবে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন, তা ব্যাখ্যা করেছেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান। আজ বুধবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে তিনি রাজশাহী মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত–৫–এ হাজির হয়ে এই ব্যাখ্যা দেন।

প্রাইভেট কারে চড়ে পুলিশ কমিশনার আদালতে এসেছিলেন সাদা পোশাকে। কাঠগড়ায় তিনি প্রায় ১৫ মিনিট ছিলেন। এ সময় তাঁর আইনজীবী জমসেদ আলী আদালতে লিখিতভাবে ঘটনার ব্যাখ্যা দেন এবং পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে করা বিভিন্ন মামলা থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন জানান। আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুর রহমান আবেদন গ্রহণ করে আদেশ দেওয়ার জন্য রাখেন।

রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আলী আশরাফ (মাসুম) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামলার পরবর্তী ধার্য তারিখ আগামী ১ ডিসেম্বর। পুলিশ কমিশনারের আবেদনের বিষয়ে আদালত সেদিন আদেশ দিতে পারেন।

আলী আশরাফ আরও জানান, পুলিশ কমিশনার তাঁর ব্যাখ্যায় বলেছেন, আসামি লিমন মিয়াকে হাসপাতালে আটকের সময় সেখানে অনেক মানুষের ভিড় ছিল। সে সুযোগে লিমন মিয়া ক্যামেরার সামনে কথা বলেন। ওই সময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

১৩ নভেম্বর রাজশাহীতে বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের বাসায় ঢুকে তাঁর ছেলে তাওসিফ রহমানকে (১৭) হত্যা করা হয় এবং বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহারকে (৪৪) জখম করা হয়। ঘটনার পর অভিযুক্ত লিমন মিয়াকে হাসপাতালে হেফাজতে নেয় পুলিশ। সেখানে তিনি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন। ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আদালতের নজরে আসে। এ ঘটনায় আদালত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানকে তলব করে ব্যাখ্যা নেওয়ার জন্য।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন