নারীদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন-চিন্তা করলে ভুল হবে: সেনাপ্রধান
| জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, ‘দেশের ৫০ ভাগ নারী। তাঁদের ছাড়া যদি আমরা ভাবি যে দেশ ও জাতি উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে যাবে, তাহলে সেটা ভুল হবে। তাই আমরা ক্রমাগত চেষ্টা করব, যেন নারীদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুন্দরভাবে গড়ে উঠতে পারে।’
আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেনাপ্রধান এই মন্তব্য করেন। তিনি অনুষ্ঠানে আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, নারীরা দেশ ও জাতির গঠনে অব্যাহতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাবেন।
জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের তিন দিনব্যাপী পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে শুক্রবার ছিল দ্বিতীয় দিন। এদিন সেনাপ্রধান প্যারেডে অংশগ্রহণকারী ক্যাডেট ও প্রাক্তন ক্যাডেটদের প্যারেড সালাম গ্রহণ করেন। পরে তিনি তাঁদের সফলতা ও ভবিষ্যতে উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘আমরা অনেকেই শিক্ষিত হই, কিন্তু সুশিক্ষিত নই। ভালো রেজাল্ট করি, উচ্চ জিপিএ পাই। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো ফল করি, পিএইচডি সম্পন্ন করি, বড় বড় পদে দায়িত্ব গ্রহণ করি। কিন্তু কারও কারও মধ্যে নৈতিকতার অভাব থাকায় আমরা সঠিকভাবে ভালো কাজ করতে পারি না।’
সেনাপ্রধান আরও বলেন, ‘নৈতিকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু ভদ্র ও মেধাবী হওয়া বা ভালো রেজাল্ট পাওয়াই যথেষ্ট নয়, আমাদের সবাইকে ভালো মানুষ হতে হবে। সেই লক্ষ্যেই এই ক্যাডেট কলেজ কাজ করছে। আমরা এখানে সততা ও নৈতিকতার শিক্ষা দিয়ে আসছি। এর বড় উদাহরণ আমি দেখতে পাচ্ছি—বিশালসংখ্যক প্রাক্তন ক্যাডেট আছেন, যারা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আরিফুল হক এবং জয়পুরহাট প্রাক্তন ক্যাডেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মৌসুমী শিখা। এতে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর ১১ পদাতিক ডিভিশন ও বগুড়ার এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল তৌহিদুল আহাম্মেদ, সেনা পরিবার কল্যাণ সমিতির পৃষ্ঠপোষক সারাহনাজ কমলিকা জামান, জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক আফরোজা আখতার চৌধুরী, পুলিশ সুপার মো. আবদুল ওয়াহাবসহ কলেজের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও অভিভাবকরা।
Comments
Comments