[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

সিলেট সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বহিষ্কৃত ৪০ নেতাকে আবার ফিরিয়ে নিলো বিএনপি

প্রকাশঃ
অ+ অ-
বিএনপির লোগো | ছবি: বিএনপির ফেসবুক থেকে নেওয়া

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা মহানগর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৪০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে বিএনপি। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দীর্ঘ দুই বছর পর এই নেতাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলে দলের একটি সূত্র জানিয়েছে।

রোববার বিকেলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিষয়টি সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে নিশ্চিত করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় সংশ্লিষ্ট নেতাদের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। পরে তারা দলের কাছে লিখিত আবেদন করলে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয় এবং প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

২০২৩ সালের ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি ওই নির্বাচন বর্জন করেছিল। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় মহানগরের ৪০ নেতাকে তখন দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।

বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হওয়া নেতারা হলেন ১ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দ তৌফিকুল হাদী ও মুফতি কমর উদ্দীন (কামু); ২ নম্বর ওয়ার্ডের নেহার রঞ্জন পুরকায়স্থ; ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মিজানুর রহমান (মিঠু); ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. কামাল মিয়া, খালেদ আকবর চৌধুরী, আমিনুর রহমান খোকন ও শাহেদ সিরাজ; ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ফরহাদ চৌধুরী (শামীম); ১০ নম্বর ওয়ার্ডে মো. সাঈদুর রহমান (জুবের); ১১ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুর রহিম (মতছির); ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের নজরুল ইসলাম (মুনিম); ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মুজিবুর রহমান; ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের এ বি এম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল ও সালমান চৌধুরী শাম্মী; ২২ নম্বর ওয়ার্ডে বদরুল আজাদ (রানা); ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের মামুনুর রহমান (মামুন); ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের হুমায়ুন কবির (সুহিন); ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে রুকশানা বেগম শাহনাজ; ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের সেলিম আহমদ (রনি); ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের আলী আব্বাস; ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের গোলাম মোস্তফা কামাল ও সাহেদ খান (স্বপন); ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের জাবেদ আমিন সেলিম, রাজু মিয়া ও সানর মিয়া; ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আবদুল মুকিত; ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের হেদায়েত হোসেন তানভীর ও দুলাল আহমদ; ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের গউছ উদ্দিন (পাখী) ও দেলওয়ার হোসেন (নাদিম); ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে দিলওয়ার হোসেন (জয়); ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে উসমান হারুন (পনির); ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে আলতাফ হোসেন (সুমন); ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে আবদুল হাছিব এবং ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে সুমন আহমদ সিকদার।

এ ছাড়া সংরক্ষিত ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ২২, ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে সালেহা কবির (শেলী); ১০, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডে রুহেনা বেগম (মুক্তা) ও জহুরা জেসমিন এবং ১৬, ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে কামরুন নাহারের (পিন্নি) বহিষ্কারাদেশও প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী বলেন, বহিষ্কারাদেশ মাথায় নিয়েও তাঁরা দলকে এগিয়ে নিতে কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। এ ছাড়া তাঁরা অনুতপ্ত হয়ে দলীয় ফোরামে আবেদনও করেছেন। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে তাঁদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। 

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন