[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

ট্যাক্স ভিক্ষুকও দেন, আবার বিশাল শিল্পপতিও দেন: জামায়াতের আমির

প্রকাশঃ
অ+ অ-
রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে চতুর্থ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলন ২০২৫–এ বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। ২৯ নভেম্বর ২০২৫ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

দেশের অর্থনীতি যদি ন্যায্যতার ভিত্তিতে না চলে, তাহলে সমাজে অন্যায় চলতেই থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, দেশের সব স্তরের মানুষ অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। কিন্তু ন্যায্যতা না থাকায় প্রান্তিক মানুষ ও উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এই অন্যায় বন্ধের মূল দায়িত্ব দায়িত্বশীলদের রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করছে।

আজ শনিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে চতুর্থ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলন ২০২৫–এ শফিকুর রহমান এ কথা বলেন। এ অর্থনৈতিক সম্মেলনের আয়োজন করে দৈনিক বণিক বার্তা। সম্মেলনে জামায়াতের আমিরের সহযোগী বক্তা ছিলেন দলের সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব মো. সফিউল্লাহ। তিনি ‘অর্থনীতিতে ন্যায্যতা’ বিষয়ে আলোচনা করেন।

জামায়াতের আমির বলেন, ‘দেশের অর্থনীতিতে গরিব ও ধনী সবাই অবদান রাখছেন। ট্যাক্স একজন ভিক্ষুকও দেন, আবার একজন বিশাল শিল্পপতিও দেন। ভিক্ষুক সারা দিনে ১০, ২০ কিংবা ১০০ টাকা যা আয় করেন, সন্ধ্যায় দোকানে গিয়ে কিছু কিনলে ট্যাক্স দিতে হয়। নবজাতকের কিছু কিনলেও ট্যাক্স দিতে হয়, অর্থাৎ নব্য শিশুও ট্যাক্সের সঙ্গে সম্পর্কিত। বিদেশি ঋণও সবার ওপর সমভাবে চাপ সৃষ্টি করে; নবজাতক থেকে ৮০ বছরের বৃদ্ধ—সবার ওপর ঋণের বোঝা পড়ে। তাই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে দায়িত্বটা কে নেবে, এটা সমাজ ও সরকারের যৌথ দায়িত্ব।’

১৮ কোটি মানুষের দেশকে পরিকল্পনা ছাড়া সাজানো সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন জামায়াতের আমির। পরিকল্পনা থাকলে জনসংখ্যাকে সম্পদে রূপান্তর করা যাবে বলেন তিনি। তা না হলে ১৮ কোটি মানুষের জায়গায় ১৮ লাখ হলেও সমাজ সাজানো যাবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

দুর্নীতির কারণে উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন জামায়াতের আমির। তিনি বলেন, চাঁদা ও দুর্নীতি ব্যবসায়ীদের এমনভাবে বাধাগ্রস্ত করছে যে সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও তাঁরা নতুন উদ্যোগ নিচ্ছেন না, বিনিয়োগ করছেন না। অনেকেই শুধু যে ব্যবসা আছে, তা বাঁচানো ও ধরে রাখায় ব্যস্ত।

বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উদাহরণ টেনে শফিকুর রহমান বলেন, ‘বিদেশিদের সঙ্গে যখন কথা হয়, তাঁরা বলেন, যেখানে বিনিয়োগ করবেন, সেখানে স্থিতিশীলতা ও ফান্ডের নিরাপত্তা থাকবে। বাংলাদেশে এখন সেটা নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘সে রকম পরিবেশ আমরা তৈরি করতে পারিনি। ফলে অনেক দেশ বাংলাদেশকে বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত মনে করে না। আমাদের দেশে লালফিতার ঝামেলার কারণে তাঁরা বিনিয়োগে আগ্রহী হন না।’

দেশ বদলাতে শিক্ষা, দুর্নীতি দমন ও ন্যায়বিচারে গুরুত্ব দেওয়ার কথা উল্লেখ করে জামায়াতের আমির বলেন, কারিগরি শিক্ষা জাতিকে অনেক দূর এগিয়ে নেবে। এর সঙ্গে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়ে দুর্নীতিকে মূল থেকে দূর করতে হবে। তাহলে একটি ভালো পরিবেশ তৈরি হবে, দেশ এগিয়ে যাবে।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন