তারেক রহমান দেশে ফিরতে চাইলে একদিনে ট্রাভেল পাস দেওয়া সম্ভব
| পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন | গ্রাফিকস: পদ্মা ট্রিবিউন |
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যদি দেশে আসতে চান, এক দিনে তাঁকে ‘ট্রাভেল পাস’ দেওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ডিক্যাব টকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা বলেন। তিনি ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি: পরিবর্তনশীল বিশ্বে একটি প্রাসঙ্গিক ভূমিকা নির্ধারণ’ বিষয়ে ডিক্যাব সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘তারেক রহমান দেশে আসতে চাইলে কোনো বিধিনিষেধ নেই, এক দিনে ট্রাভেল পাস দেওয়া সম্ভব। আর সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে বিদেশে যেতে চাইলে, প্রয়োজনীয় সহযোগিতা অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে করা হবে।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারতে পালিয়ে থাকা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে প্রথমে প্রত্যর্পণ করা হবে—এ ধরনের কোনো অফিসিয়াল তথ্য নেই।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম লিখেছেন, তিনি মোটামুটি নিশ্চিত যে ভারত শিগগিরই আসাদুজ্জামান খানকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করবে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ না করলে সম্পর্কের ওপর প্রভাব পড়বে কি না জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে ফেরত না দিলে শুধু একটি ইস্যুতে সম্পর্ক আটকে থাকবে না।’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান ওয়ান–ইলেভেনের পর ২০০৮ সালে কারাগার থেকে বের হয়ে সপরিবার যুক্তরাজ্যে যান। এরপর আর দেশে ফেরেননি। বিদেশ থেকে দল পরিচালনা করে আসছেন তিনি।
গত বছর জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বিভিন্ন মামলায় তারেক রহমানের সাজা বাতিল হওয়ায় দেশে ফেরার আলোচনা শুরু হয়। যদিও বিএনপির নেতারা বলছেন, তিনি শিগগিরই ফিরবেন, সুনির্দিষ্ট দিন তারিখ জানাচ্ছেন না।
এর মধ্যে খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে তাঁর জীবন সংকটাপন্ন হওয়ায় শোনা যাচ্ছিল, তারেক রহমান দ্রুত দেশে আসছেন।
তবে বাংলাদেশ সময় গতকাল সকালে লন্ডন থেকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লেখেন, ‘এমন সংকটকালে মায়ের স্নেহ–স্পর্শ পাবার তীব্র আকাঙ্ক্ষা যেকোনো সন্তানের মতো আমারও রয়েছে। কিন্তু অন্য আর সবার মতো এটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমার একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত ও একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়।’
পোস্টে আরও উল্লেখ করেছেন, ‘স্পর্শকাতর বিষয়টির বিস্তারিত বর্ণনার সুযোগও সীমিত। রাজনৈতিক বাস্তবতার এ পরিস্থিতি প্রত্যাশিত পর্যায়ে পৌঁছালে স্বদেশপ্রত্যাবর্তনে আমার দীর্ঘ উদ্বিগ্ন প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে বলেই আমাদের পরিবার আশাবাদী।’
পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বিধিনিষেধ বা আপত্তি নেই।’
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন