দলীয় প্রার্থী ঘোষণার পর গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষ-ভাঙচুর, আহত ১০
![]() |
| মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দলীয় মনোনয়নকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে গাংনী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
মেহেরপুর-২ আসনের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে মনোনয়নপ্রাপ্ত সাবেক সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন এবং জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রার্থী আমজাদ হোসেন দলীয় নেতা–কর্মীদের সঙ্গে গাংনী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যাচ্ছিলেন। এ সময় মনোনয়ন না পাওয়া জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদের সমর্থকরা তাঁদের ওপর হামলা চালান। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ছোড়া ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে জাভেদ মাসুদের সমর্থকেরা আমজাদ হোসেনের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর এবং কয়েকটি মোটরসাইকেল ক্ষতিগ্রস্ত করে।
খবর পেয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলুর নেতৃত্বে আমজাদ হোসেনের সমর্থকরা পাল্টা মিছিল বের করে জাভেদ মাসুদের কার্যালয়ে হামলা চালান। তারা অফিসের আসবাব বাইরে এনে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল গাড়ি এলাকায় পৌঁছালে নেতা–কর্মীরা কিছু সময়ের জন্য ছত্রভঙ্গ হয়। পরে আবার সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ বিষয়ে আমজাদ হোসেন ও জাভেদ মাসুদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন ধরেননি।
গাংনী থানার ওসি বানি ইসরাইল বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বেলা ২টার পর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার সন্ধ্যায় মেহেরপুরের দুটি আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকে মনোনয়নবঞ্চিত জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদের সমর্থকরা গাংনী শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছেন।

Comments
Comments