মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে প্রার্থী বদলের দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ, এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ
মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী বদলের দাবিতে সমাবেশ–বিক্ষোভ, এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ অনলাইনের জন্মুন্সিগঞ্জ-১ (সিরাজদিখান-শ্রীনগর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পুনর্বিবেচনার দাবিতে সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল এবং কিছু সময়ের জন্য এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করা হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১১টা থেকে দেড়টার মধ্যে শ্রীনগর উপজেলা স্টেডিয়াম ও এক্সপ্রেসওয়ের ছনবাড়ী এলাকায় এসব কর্মসূচি হয়।
মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে বিএনপি প্রার্থী করেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সভাপতি শেখ মো. আবদুল্লাহকে। তাঁর পাশাপাশি এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. মমীন আলী এবং ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ হোসেন। এর আগে ৫ নভেম্বর একই দাবিতে এই তিনজনের সমর্থকেরা বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং এক্সপ্রেসওয়ে এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
আজ বেলা ১১টার দিকে শ্রীনগর স্টেডিয়ামে তিন মনোনয়নপ্রত্যাশী মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে সমাবেশের আয়োজন করেন। সকাল থেকে সিরাজদিখান ও শ্রীনগর থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমর্থকেরা সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্টেডিয়ামে শুরু হয় সমাবেশ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মমীন আলী। প্রধান অতিথি ছিলেন মীর সরাফত আলী। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবদুল কুদ্দুস। এ সময় আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী ফরহাদ হোসেনসহ কয়েক শ নেতা–কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
![]() |
| মুন্সিগঞ্জ-১ (সিরাজদিখান-শ্রীনগর) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী পুনর্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে শ্রীনগর উপজেলা স্টেডিয়াম এলাকায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
সমাবেশে মীর সরাফত আলী বলেন, ‘মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে যে ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তিনি বিতর্কিত একজন মানুষ। তাঁর ভাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাঁর ভাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িত থাকায় জেলহাজতে আছে। তারেক রহমান বলেছিলেন, ‘যাঁরা দলের জন্য কাজ করেছেন, নিপীড়ন সহ্য করেছেন, জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন, জনগণ যাঁদের ভালোবাসে, যাঁদের ওপর আস্থা রাখেন, দল তাঁদের মনোনয়ন দেবে।’ আমরা সে কথা বিশ্বাস করি। সে হিসেবে আমরা শতভাগ আশাবাদী, প্রার্থী পরিবর্তন করে চূড়ান্ত মনোনয়ন ত্যাগীদের দেওয়া হবে।’
সমাবেশ শেষে নেতা-কর্মীরা ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ছনবাড়ী এলাকায় যান। সেখানে তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। বেলা পৌনে একটার দিকে শতাধিক নেতা-কর্মী এক্সপ্রেসওয়েতে উঠে বিক্ষোভ করে যান চলাচল বন্ধের চেষ্টা করেন। এ সময় কয়েকজন যান চলাচলে বাধা দিলে সড়কে ধীরগতি দেখা দেয়। ৮–১০ মিনিট পর বিএনপি নেতা মীর সরাফত আলী এসে নেতা-কর্মীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেন। ঘটনাস্থলে পুলিশও যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে।
হাসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি মাহমুদুল হক বেলা পৌনে দুইটার দিকে বলেন, ‘এক্সপ্রেসওয়েতে আমাদের পুলিশের লোকজন ছিল। সেখানে কোনো যানজট ছিল না। অবরোধের বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।’


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন