জামদানি শাড়ি ও শাপলা ফুলের নকশায় মিথিলা
![]() |
| ন্যাশনাল কস্টিউম হিসেবে মিথিলা বেছে নিয়েছেন সাদা জামদানি শাড়ি | ছবি: ফেসবুক থেকে |
থাইল্যান্ডে চলছে মিস ইউনিভার্সের ৭৪তম আসর। বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন তানজিয়া জামান মিথিলা। ২১ নভেম্বর জানা যাবে কার মাথায় উঠবে ‘মিস ইউনিভার্স ২০২৫’-এর মুকুট। তার আগে প্রতিদিনই বিভিন্ন সেশনে প্রতিযোগীদের নানা পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।
আজ ১৯ নভেম্বর ১২১টি দেশের প্রতিযোগী নিজ নিজ দেশের ন্যাশনাল কস্টিউম পরে মঞ্চে হাঁটবেন। এরই মধ্যে মিথিলা তাঁর ন্যাশনাল কস্টিউম লুকের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন।
মিথিলা ন্যাশনাল কস্টিউম হিসেবে বেছে নিয়েছেন বাংলাদেশের নারীদের প্রধান পোশাক শাড়ি। দেশের ঐতিহ্য তুলে ধরতে তিনি পছন্দ করেছেন সাদা জামদানি।
![]() |
| বোনা হচ্ছে সাদা জামদানি শাড়িটি | ছবি: আফরিনা সাদিয়া সৈয়দার সৌজন্যে |
জামদানি শাড়ির মোটিফে ফুটে উঠেছে বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা। ছবিটি পোস্ট করার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ২৪ হাজার ইতিবাচক রিঅ্যাকশন আসে। কমেন্টেও সবাই তাঁর সাজের প্রশংসা করছেন। দুটি ছবি দিয়ে মিথিলা লিখেছেন, ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের ন্যাশনাল কস্টিউম—‘দ্য কুইন অব বেঙ্গল’।
![]() |
| জামদানি শাড়িটি পুরোপুরি হাতে তৈরি করা, বানাতে সময় লেগেছে প্রায় ১২০ দিন | ছবি: ফেসবুক থেকে |
এরপর পুরো লুকের বিস্তারিত তুলে ধরেছেন ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২৫’। তিনি লিখেছেন, ‘মিস ইউনিভার্স মঞ্চের ন্যাশনাল কস্টিউম পর্বের জন্য পরছি ঐতিহ্যবাহী অভিজাত জামদানি; এটি বাংলার রাজকীয় ইতিহাসের জীবন্ত ঐতিহ্য।’
মিথিলার পুরো শাড়িতে ফুটে উঠেছে শাপলার মোটিফ। মিথিলা ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘শাপলা এই মাটির শান্তি, পবিত্রতা ও অপরাজেয় মনোভাবের প্রতীক। এই বিশেষ জামদানি শাড়িটি পুরোপুরি হাতে তৈরি, বানাতে সময় লেগেছে প্রায় ১২০ দিন। শাড়িটির ডিজাইনার আফরিনা সাদিয়া সৈয়দা।’
ডিজাইনার আফরিনা সাদিয়া সৈয়দা বলেন, ‘জামদানি শাড়িটি আমরা ১৫০ কাউন্ট খাদি সুতির সুতা দিয়ে তৈরি করেছি। মিথিলা চেয়েছিলেন এমন একটি থিম, যা বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করবে। তাই কয়েকটি থিম দেখাই। শাপলা ফুলের মোটিফ দিয়ে শাড়িটি ডিজাইন করা হয়। সবাই ডিজাইনটা খুব পছন্দ করেছে। এই শাড়ি বুনতে দুজন মাস্টার তাঁতির চার মাস লেগেছে।’
মিথিলার গয়না
শাড়ির পাশাপাশি নজর কেড়েছে মিথিলার বিশেষভাবে তৈরি জুয়েলারি ব্লাউজ ও গয়নাগুলো। সিক্স ইয়ার্ড স্টোরির স্বত্বাধিকারী জেরিন তাসনিম খান জানিয়েছেন, গয়নার পুরো সেট বানাতে লেগেছে আড়াই মাস। এতে কাজ করেছেন ১২ জন কারিগর। মিথিলা চেয়েছিলেন সাদা জামদানির সঙ্গে পুরো গয়নায় সোনালি লুক থাকবে।
এ কারণে ২২ ক্যারেট সোনার প্রলেপ দেওয়া হয়েছে। টিকলি, চোকার, ঝুমকা, বালা, মোটা চূড়া, রতনচূড়, বাজু, বিছা, চাবির গোছা এবং আঁচলের ওপর বসানো গয়নায় সবকিছুতেই শাপলার থিম ব্যবহার হয়েছে। গলার হারের ঝুলে থাকা সবুজ পাথর শাপলা পাতার রঙ থেকে অনুপ্রাণিত।
![]() |
| ২২ ক্যারেট সোনার প্রলেপ দেওয়া হয়েছে পুরো গয়নায় | ছবি: ফেসবুক থেকে |
প্রথমবারের মতো জুয়েলারি ব্লাউজ বানিয়েছেন জেরিন তাসনিম খান। মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে যাওয়ার আগে ন্যাশনাল কস্টিউম লুক সেট করার দিন রাত ১২টার দিকে মিথিলার সঙ্গে পুরো টিম ফাইনাল করেন ব্লাউজের কাজ।
কারিগরদের নিয়ে তিন ঘণ্টার মধ্যে সবুজ ইনারের ওপর ব্লাউজে গয়না বসানোর কাজ শেষ করেন জেরিন। এরপর মডেলকে ব্লাউজটি পরিয়ে সেলাই করা হয়, যাতে ফিটিং নিয়ে কোনো সমস্যা না হয়।




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন